মালেক মুস্তাকিম’র দুটি কবিতা
জীবন গিলে খেয়েছে পঞ্জিকার পাতা
সূর্যের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে নক্ষত্র
অন্ধকারে আমি খুঁজছি মুদ্রিত রোদের ঢেউ, ঘোর বৃষ্টি
ঘুমের মধ্যে জীবন গিলে খেয়েছে পঞ্জিকার পাতা,
উলটে গেছে যাপনের মধ্যরেখা,
এক হাওয়া রাতের কাছে জমা দিয়ে গেছে যাবতীয় সঞ্চয়
সেই থেকে মহল্লার অলিতে গলিতে উড়াল স্বভাব;
বুকের ভেতর সন্তর্পনে বসে আছে উড়ন্ত পাখি,
পাখির মনে বাসা বেধেছে নদী
নদীর চোখে-মুখে বৃক্ষের পতন; মেঘের বল্লম
চুরি করে নিয়ে গেছে পলাতক হরিণ শাবক।
অরণ্য হারিয়ে ফেলেছে লোকালয়, ঘরবাড়ি, স্বদেশ
উদ্বাস্তু হয়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছে নাচঘুঙুর।
ক্যালেন্ডারের ব্লাকহোলে বুঁদ হয়ে পড়ে আছে মাতাল জীবন।
কেউ যায়, যাওয়ার অধিক
যে আমাকে ছেড়ে চলে গেছে, গেছে সে যাওয়ার অধিক-
আমি তার ছায়ার পেছনে ঘুরি-
ছায়াগুলো সন্দেহাতীতভাবে অদৃশ্য হতে হতে
কাঁচের শরীরে ঢুকে পড়ে
জলের অনশন ভেঙে এখানে ক্রমাগত কুয়াশাপাত-
ভাঁটফুলে, রক্তজবায়-
এখানে আলো ও অন্ধকারের প্রলোভন, মায়াপাখি ভোর-
আমাদের চোখে চোখে অস্তগামী নিমজ্জন
সমস্ত শোকের মুদ্রায় জলের ফোঁটা- বৃষ্টির মার্বেল!
ছায়ারাও এখানে মুখোশে ঢেকে রাখে মায়াবী শহর।