যোগ্যতাহীন তুমি
আমাকে ভালোবাসার কোন যোগ্যতাই তোমার নেই
ভালোবাসা নামক পবিত্র শব্দটা তোমার জন্য নয়।
ভুল পাত্রে প্রেম দিয়ে সর্বস্ব হারানো মানুষ তুমি
ভালোবাসা স্বর্গ থেকে আসে এবং পবিত্র মনে বিরাজ করে।
তোমার তো সুন্দর দেহ আছে কিন্তু সুন্দর মন নেই
তোমার টানাটানা চোখ আছে কিন্তু চোখে অন্ধকার
তুমি হাসতে জানো কিন্তু হাসির রং নেই
তুমি কিভাবে ভালোবাসা চিনবে?
আজ তুমি বিশ্বাসহীনতা রোগে আক্রান্ত
মুখোশ পড়া মানুষ চিনো না
সামনে বাহাবা দেয়া তোমার কাছে ভালো মানুষ
অথচ লুকিয়ে যে তোমাকে ছায়া দিয়ে পাশে থাকে তাকে চিনতে পারলে না।
তোমার মনকে প্রশ্ন করে নেও তুমি কে, তোমার দেহটা কার?
একটু চোখ বন্ধ করে ভরসা করা মানুষটাকে কল্পনা করো
যে তোমার চোখে ভাসবে তোমার হাসিতে হাসবে বুঝে নিও সেই তোমার ছিলো এবং আছে..!
আমাকে ভালোবাসার যোগ্যতাহীন তুমি
তাই ক্ষনিকের মোহতে হারিয়ে গেলে
এখন পাগলের মত একটা ভরসার হাত খুঁজে যাচ্ছো
কিন্তু পাচ্ছো না
অথচ অন্ধকারে হাত বাড়ালেই আমার হাতটা ছুতে পারতে, ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকতে।
তুমি ৫০ পয়সাকে রত্ন ভেবে হাজার টাকার বিশ্বাস হারালে
অন্যের কথায় চোখ বাড়িয়ে অন্ধকারে ডুবে গেলে।
তুমি কিন্তু আমাকে দেখতে পাচ্ছো না, পবিত্র মন অনুভব করতে পারছো না,
অথচ আমি তোমাকে দেখি, দেখে যাচ্ছি সর্বত্রে।
এটাই তোমার ব্যর্থতা
আমার কাছে যোগ্যতাহীন তুমি!
যেদিন তুমি অভিমানের ভাষা বুঝবে
হাসির রং চিনতে পারবে, সাগরের উত্তাল ঢেউ গুনতে পারবে,
অন্ধকারে হাত বাড়লেই ভরসার হাত ছুতে পারবে,
সেইদিন তুমি ভালোবাসার পরীক্ষায় আবার অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
৩৬৫ দিন যদি তুমি পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে পারো তবেই তুমি ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারবে।
বিশ্বাস যোগ্য হাত খুঁজতে হবে না,
বিশ্বাস যোগ্য হাত তোমার কাছে আসবে মায়া নিয়ে জড়িয়ে থাকবে অনন্তকাল।
লেখক: কবি ও শিক্ষার্থী।
সময় জার্নাল/এমআই