মো. মাইদুল ইসলাম: মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে টিকা দেয়া হচ্ছে ঢাকার সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রতিনিয়তই কেন্দ্রে এসে টিকা ছাড়াই অনেককে বাসায় ফিরতে হচ্ছে। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯:৩০ এর মধ্যে শেষ হয়ে যাচ্ছে নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকা। অল্প সময়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীদের টিকা নেয়ার নির্দেশ দেয়ায় এবং সে অনুযায়ী হাসপাতালে প্রতিদিন টিকা প্রস্তুত না রাখায় এ ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
এখানে প্রতিদিন ৬০০-৮০০ টিকা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য। সকাল ৯ টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হলেও, টিকা পেতে আরও আগে থেকে সিরিয়ালে দাঁড়াতে হয়ে শিক্ষার্থীদের। ৯:৩০ এর পর এখানে আসলে আর টিকার 'টোকেন' দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সাত কলেজে প্রায় দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। গত ২৪ অক্টোবর থেকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের করোনা’র টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথমে বিভাগ ভিত্তিক টিকা গ্রহণের তারিখ দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীদের সাড়া কম থাকায় পরবর্তীতে ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে টিকা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়। এর পরই বেড়েছে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়লেও, ডিএনসিসি হাসপাতালে দৈনিক নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকা দেয়ার কারণে অনেককেই টিকা ছাড়া ফিরতে হচ্ছে।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সোমা জানান, তিনি সকাল ৯:৩০ এ ডিএনসিসি হাসপাতালে পৌঁছায়, এসে ৩০ মিনিটের মত লাইনে দাঁড়িয়ে টোকেন সংগ্রহ করতে গেলে জানানো হয়, আজকে আর টোকেন দেয়া হবে না। এই শিক্ষার্থী বলেন, আমার পরীক্ষা চলছে এর মধ্যেই এত দূর থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে এখন টিকা পেলাম না! এটা চরম ভোগান্তির।
উত্তরা থেকে টিকা দিতে আসা আরেক শিক্ষার্থী জানান, তিনি জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে না। যাদের জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে না, তারা এখানে এসে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিতে পারবে এমন বলা হলেও এখানে শিক্ষার্থীদের চাপ বেশি হওয়ায় এবং সার্ভারে সমস্যা থাকায় জন্ম নিবন্ধন নিয়ে আশাদের টিকা দেয়া হচ্ছে না।
সাত কলেজের সমন্বয়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য সময় জার্নালকে বলেন, রেজিস্টেশন করে যেয়েও টিকা পায়নি, এমন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। তবে অনেক শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে না তাদের জন্য পরবর্তীতে নতুন করে টিকা নেয়ার ডেট দেয়া হবে।
মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সময় জার্নালকে বলেন, আজকে যারা এসেছিলো তাদের সকলকে টিকা দেয়া হয়েছে। যাদের রেজিস্ট্রেশন করা ছিলো না তাদের রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেয়া হয়েছে। তবে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের নিজেদেরই রেজিস্ট্রেশন করে আশার কথা বলেছেন তিনি।
৪ তারিখের পর সময় বাড়ানো হবে কিনা এ ব্যাপারে তিনি বলেন, সাত কলেজ প্রশাসন সময় বাড়ালে তারা টিকা দিতে প্রস্তুত আছে।
সময় জার্নাল/এমআই