নিজস্ব প্রতিবেদক।সময় জার্নাল : করোনাকালে সার্বিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। চরম সংকটে দিন কেটেছে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জীবন। টিকে থাকতে না পেরে অনেকেই রাজধানী থেকে বিদায় নিয়েছেন। এই দেড় বছরে দেশে দারিদ্র্যের হারও বেড়েছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসায় সব ধকল কাটিয়ে উঠতে মানুষ যখন জীবনযুদ্ধে নেমেছে তখনই ধারাবাহিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ সবকিছুর দামও হু হু করে বাড়ছে।
চাল থেকে ডাল, ভোজ্য তেল থেকে জ্বালানি। প্রায় সব নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া দামে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। এসবের মধ্যেই হঠাৎ বুধবার (৩ নভেম্বর) রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা করে বাড়িয়েছে সরকার। শুধু তাই নয় তার একদিন না যেতেই বৃহস্পতিবার সকালেই এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়া হয়। এমন অবস্থায় ক্রমেই দুঃসহ হয়ে উঠছে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের জীবন।
নিম্ন-মধ্যবিত্তরা বলছেন, সরকার দাম বাড়িয়েছে কয়েকটা জিনিসের, কিন্তু এর সাথে সম্পৃক্ত সবকিছুর দাম স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। যেমন, ডিজেলের দাম বাড়ার সাথে বাস, ট্রাক ও লঞ্চসহ সব ধরনের পরিবহন সম্পৃক্ত। স্বাভাবিকভাবেই পরিবহন ব্যয় বাড়লে পণ্যের দামের ওপরও প্রভাব পড়বে। এছাড়া এলপিজি সিলিন্ডারের সাথে হোটেল, রেস্তোরাঁর খাবার এবং জ্বালানির সাথে পুরো কৃষি খাতই জড়িত।
শুধু তাই নয় গত কিছুদিন ধরে সবজির বাজারও আগুন। এমন অবস্থায় ফের জ্বালানির দাম বেড়ে গেলে বাজারে যাওয়াই কঠিন হয়ে যাবে। এমন অবস্থায় জীবনধারণের খরচ মেটাতে বড় রকমের চাপে পড়তে হবে সীমিত আয়ের মানুষদের।
দাম বাড়ার বিষয়টি স্বীকার করে ব্যবসায়ীরাও বলছেন, শীত আসছে, কিছুদিন পরেই সবজির দাম কমে আসতো। তবে এখন জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই ট্রাক-পিকআপ ভ্যানের ভাড়া বেড়ে গেছে। রাজধানীতে সবজি আনতে খরচও বেড়ে যাবে। এতে দাম বাড়ালে কিছুই করার নেই।
তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ও সঠিক তদারকির পরামর্শ অর্থনীতিবিদের।
সময় জার্নাল/আরইউ