ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন :
বেঁচে থাকতে এমন একটা প্রতিষ্ঠান দেখে যেতে চাই, ছোটখাটো হোক, শান-শওকত না থাকুক, মানসম্মত চিকিৎসার পাশাপাশি নিখাঁদ আন্তরিকতার ছোঁয়া থাকবে যেখানে।
ক্যান্সার রোগীরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সেবার মূল্য পরিশোধ করবেন। যাদের সামর্থ্য নেই তাদের জন্য অন্ততঃ ২৫% শয্যা ও অন্যান্য সেবা সংরক্ষিত থাকবে, দেশের কোন বেসরকারি হাসপাতালে যা ১% ও নেই আমার জানা মতে। চিকিৎসার পাশাপাশি সমাজভিত্তিক প্রতিরোধ ও স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম থাকবে।
অসম্ভব মনে হচ্ছে কি?
মোটেই অসম্ভব নয়।
সরকারের সহযোগিতা লাগবে। কিছু উদ্যোগী মানুষ লাগবে। বিত্তবান কিছু মানুষ লাগবে, যারা ক্যান্সারকে কেবল বানিজ্য হিসেবে দেখবেন না। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গায় দেখবেন।
আর লাগবে কিছু চিকিৎসক, কিছু মানবদরদী চিকিৎসক, সব কিছু পাওয়ার পর যারা একটা সময়ে কিছু ছাড় দেয়ার কথা ভাবতে পারবেন।
আর লাগবে সাধারণ মানুষের আস্থা ও সহযোগিতা।
আমার বিশ্বাস, সম্ভব। বেঁচে থাকতে দেখে যেতে পারবো।