শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

খাঁচায় মাছ চাষ পরিচিত নাম 'ডাকাতিয়া মডেল'

রোববার, নভেম্বর ৭, ২০২১
খাঁচায় মাছ চাষ পরিচিত নাম 'ডাকাতিয়া মডেল'

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশে কিছু এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে নদীতে মাছ ধরার একটি বিশেষ পদ্ধতি। খাঁচায় মাছ চাষের এ পদ্ধতিটি বিশেষভাবে পরিচিত 'ডাকাতিয়া মডেল' হিসেবে।

সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিস বলছে, বাণিজ্যিকভাবে খাঁচায় মাছ চাষের এ অধ্যায়টি শুরু হয় চাঁদপুর জেলার ডাকাতিয়া নদীতে এবং সে কারণেই সেখানকার ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন মডেলটির নামকরণ হয়েছে 'ডাকাতিয়া মডেল' হিসেবে।

চাঁদপুর নদী কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ হারুনর রশীদ বিবিসি বাংলাকে বলছেন, নদীতে জোয়ার ভাটার কারণে খাঁচার মাছ অনেক পরিষ্কার হয় আর এগুলো দ্রুত বড় হয়।

তিনি বলেন, মৎস্য বিজ্ঞানীরাই এ প্রযুক্তিটি অনেক আগে উদ্ভাবন করেছিলো বা নিয়ে এসেছিলো যা দেশের বিভিন্ন এলাকার মাছ চাষিরা প্রয়োগ করে সুফল পাচ্ছেন।

একজন চাষী বলছেন, এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ অনেক বেশি লাভজনক বলে দিন দিন এ চাষে লোকজনের আগ্রহ বাড়ছে।

মোঃ হারুনর রশীদ বলছেন, মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধীনে চাঁদপুর নদী কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরাই এটি উদ্ভাবন করে মাছ চাষিদের ধারণা দিয়েছিলেন এবং তার মতে সেখান থেকেই এটি ছড়িয়েছে।

সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিস বলছে, ধারণাটি এসেছে মূলত থাইল্যান্ড থেকে বিভিন্ন ধরনের জলাশয়ে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ উপযোগী আকারের খাঁচা স্থাপন করে অধিক ঘনত্বে বাণিজ্যিকভাবে মাছ উৎপাদনের প্রযুক্তিই হলো খাঁচায় মাছ চাষ।

তবে চাঁদপুর, সিলেট, ভোলার মতো কয়েকটি এলাকায় বেশি হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে প্রধানত চাষ হয় মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ।

বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা দুই দশকেরও আগে থাইল্যান্ড ও চীন থেকে খাঁচায় মাছ চাষের ধারণাটি পান এবং তারা সেটি নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করতে শুরু করেন।

খাঁচা তৈরির জন্য এমন জাল ব্যবহার করা হয় যাতে নদীর পানি সহজে এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে আবার ক্ষতিকর কিছু না ঢুকতে পারে। খাঁচা তৈরির সময় পানির স্রোত ও গভীরতা, মাছের পরিমাণ ও আকারসহ নানা বিষয় বিবেচনা করা হয়।

গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার আনিসুর রহমান বলছেন, তারা তেলাপিয়ার সাথে পাঙ্গাস মাছ চাষেরও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি খুব একটা সফল হয়নি।

সরকারের কৃষি তথ্য সার্ভিস খাঁচায় মাছ চাষের কয়েকটি সুবিধার কথা বলে থাকে। এগুলো হলো :

১. এ ধরনের চাষের জন্য পুকুরের মতো জলাশয়ের দরকার হয় না
২. প্রবহমান নদীর পানিতেই চাষ করা যায় ফলে খরচ কমে
৩. মাছের বর্জ্য প্রবহমান পানি অপসারণ করে ফেলে বলে পানি দূষিত হয় না
৪. মাছের উচ্ছিষ্ট নদীর প্রাকৃতিক মাছের জন্য উপকারী
৫. খাঁচার পানি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয় বলে বেশি ঘনত্বে মাছ চাষ করা যায়

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল