স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং এখন ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল। শেষ তিন বিশ্বকাপের তিনটি নকআউট ম্যাচ। আগের দুই দেখায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেতে ব্যর্থ ছিল নিউজিল্যান্ড। এবার কী ইতিহাস বদলাতে পারবে তারা? নাকি জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে ফেভারিট ইংল্যান্ড? তার আগে দুই দলের দুর্বলতা ও শক্তিমত্তাগুলো খুজে বের করেছে জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।
টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার অনেকটাই অপরীক্ষিত। তাদের মাত্র তিনজন ব্যাটার ৬০- এর বেশি বল মোকাবিলা করেছেন। জেসন রয় এদের মধ্যে একজন। কিন্তু ইনজুরির কারণে তার বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে। নিউজিল্যান্ডের বোলিং আক্রমন খুব সুগঠিত, সব বোলারই যেকোনো পরিস্থিতিতে বোলিং করতে সক্ষম।
ফর্মে থাকা মঈন আলি বেশ কিছুদিন ধরেই এই কন্ডিশনে খেলছেন। রয় না থাকায় মঈনকে হয়তো পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগাতে তিনে পাঠাতে পারে ইংল্যান্ড অথবা মাঝে ইশ সোধি ও মিচেল সান্টনারের স্পিনকে উড়িয়ে দিতেও ব্যবহার করতে পারে। তিনে নামলে নিউজিল্যান্ডের ছন্দ নষ্ট করার ক্ষমতা আছে মঈনের। তেমনটা হলে স্পিন আক্রমনকে আরও পরে আনতে পারে নিউজিল্যান্ড।
টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডেথ ওভারে সত্যিকারের পরীক্ষার মুখে পড়েছিল ইংল্যান্ড। সেই পরিক্ষায় ব্যর্থই হয়েছে তারা। কেননা ৪ ওভারে খরচ করেছে ৪৯ রান। ইনজুরির কারণে ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ টাইমাল মিলসকে আর পাবে না। দেখা যাক রয়ের বদলি হিসেবে একাদশে তারা অতিরিক্ত বোলার খেলায় কি না। তবে বিকল্প হিসেবে যারা আছেন তাদের ওপর খুব একটা ভরসাও রাখা যাচ্ছে না।
গত ৪ বছরে ডেথ ওভারে ওভার প্রতি ১০- এর ওপর রান দিয়েছেন ক্রিস ওকস , টম কারান, মার্ক উড ও ডেভিড উইলি। ব্যতিক্রম শুধু ক্রিস জর্ডান। তবে ওভার প্রতি ৯- এর ওপর রান দিয়ে তিনিও খুব বেশি দূরে নেই। তাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনুসরণ করাটাই ভালো হবে নিউজিল্যান্ডের জন্য। যার ফলে শুরুতে উইকেট হাতে রেখে ডেথ ওভারের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে তারা।
পাওয়ার প্লের সুবিধা এই টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের থেকে বেশি কেউ নিতে পারেনি। আরব আমিরাতের মন্থর ও নীচু প্রকৃতির উইকেটেও শুরুর ছয় ওভারে ৮.৩৩ রেটে রান তুলেছে তারা। একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি নিয়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন জস বাটলার। তার শক্তি ও সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।
তবে খেলা আবুধাবিতে হওয়ায় একটু হলেও সুবিধা থাকবে পেসারদের পক্ষে। বিশ্বকাপের তিন ভেন্যুর থেকে এখানেই পাওয়ার প্লে-তে সবচেয়ে কম রান দিয়েছে পেসাররা। যদি ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি ও অ্যাডাম মিলনেরা তাদের সিম, সুইং ও বাউন্সের যথাযথ প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে কঠিনতম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে ইংলিশ ব্যাটাররা। ২০ মিনিটের এই উন্মাদনা তাদের স্বপ্নও কেড়ে নিতে পারে। দেখা যাক সময় কী উত্তর দেয়।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইশ সোধির রেকর্ড খুবই বাজে। ৮ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ১১ করে। তবে বুধবার (১০ নভেম্বর) হয়তো সেই পরিসংখ্যান প্রভাব ফেলবে না। কেননা ৮ ম্যাচের বেশির ভাগই নিউজিল্যান্ডের ছোট মাঠগুলোতে, যেখানে স্পিনারদের জন্য কিছু থাকে না বললেই চলে। সেমিতে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। দেখা যাক প্রতিশোধ নিতে পারেন কি না।'
এমআই