ইলিয়াস হোসেন :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত নার্সবান্ধব বলে জানালেন ঢাকা নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ড. মফিজ উল্লাহ। সময় জার্নাল তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী নার্স বান্ধব। তিনি নার্সদের আন্তর্জাতিকমানে দেখতে চান। এ বিষয়টার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। শুধু তাই-ই নয়, নার্সদের প্রতিটি চাওয়াকে তিনি মেনে নেন। চাহিদা জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই সেটা পূরণের ব্যবস্থা করেছেন। অনেক সময় নিজের থেকেও নার্সদের মানোন্নয়নে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন।
সময় জার্নাল প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে অধ্যক্ষ ড. মফিজ উল্লাহ জানান, সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে নার্সিং পেশাকে সম্মান জানানো হচ্ছে। এর ফলে আগের চাইতে অনেক বেশি মেধাবী তরুণ-তরুণীরা নার্সিং পেশার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। এমনকি ইংলিশ মিডিয়াম থেকে এ লেভেল পাশ করা স্টুডেন্টরাও নার্সিং ভর্তি হতে আসছে বলে জানান দেশের প্রথম নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ।
তিনি বলেন, দেশে বিদেশে নার্সদের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। নার্স হলেন চিকিৎসা সেবার প্রাণভোমরা। বাস্তব কারণেই নার্সদেরকে সার্বক্ষণিক রোগীর পাশে থাকতে হয়। স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত নার্সের কোন বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
দেশে নার্সিং শিক্ষার সুযোগ বাড়ছে উল্লেখ করে ড. মফিজ উল্লাহ বলেন, আমরা নার্সদেরকে সর্বাধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন করে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য চিকিৎসক নার্সদের প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আমাদের নার্সকে এখন নিজেদের সুদক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, রোগীদের মান-সম্মত সেবা নিশ্চিত করতে শুধু নার্সের সংখ্যা বাড়ালেই চলবে না। টিচারদের ডেভেলপমেন্টে কাজ করছি। পুরো সিস্টেম চেঞ্জ হতে সময় লাগবে। ডায়ানামিক লোকদের জায়গামত নিয়োগ দিতে পারলে পুরো প্রক্রিয়ায় গতি আসবে।
সরকারের সংশ্লিষ্ট অথরিটি যদি কঠোর নজরদারী না রাখে তাহলে কিন্তু ভাল নার্স পাওয়া যাবে না। মান-সম্মত শিক্ষা ছাড়া ভালমানের নার্স পাওয়া যাবে না বলে জানান এই প্রবীণ নার্স।
ড. মফিজ উল্লাহ বলেন, আশার কথা হচ্ছে, দেশে সরকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোগে নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এরফলে সুস্থ প্রতিযোগিতা বাড়ছে। তবে, বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকমত কাজ করছে কি-না সে ব্যাপারে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বরোপ করেন তিনি। এছাড়াও বিএনসি বা ইউনিভার্সিটির নিয়মনীতি অনুসরণ করছে কি-না, টিচারদের ঠিকমত পদায়ন করছে কি-না। তাদের বেতনভাতা ঠিকমত দিচ্ছে কি-না, ফ্যাকাল্টিগুলো ঠিক আছে কিনা, তাদের ল্যাব আছে কিনা। ল্যাব থাকলেও যথাযথ ইকুয়েপমেন্ট আছে কিনা। শিক্ষার্থীদের প্র্যাকটিসের ব্যবস্থা আছে কিনা। কোন হাসপাতালে প্র্যাকটিস করে তা যাচাই-বাছাই করে দেখতে বলেন ড. মফিজ উল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে জেনারেল নার্স আছে। যাদের দিয়ে বাই রোটেশন সব সেক্টরে কাজ করানো হয়। এ কারণে আমরা সবই কিছু কিছু জানি। কিন্তু কোন বিষয়েই দক্ষ নই।
আমরা স্পেশালিস্ট নার্স তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে অনকোলজি নার্সিং অনুমোদন হয়ে গেছে। এক বছরের কোর্স। ট্রমাটোলজি ও ইউরোলজি- এই তিন বিষয়ের কারিকুলাম রেডি হয়েছে বলে জানান ড. মফিজ উল্লাহ।