সময় জার্নাল প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন; স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে যা হচ্ছে তা কাম্য নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে নাই নির্বাচন হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে আমাদের দায়িত্ব কি? আমরা কি করছি? আমাদের আরও সহনশীল হওয়া উচিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এটা নয়; এটা বঙ্গবন্ধুর দর্শন এগুলো নয়। দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। দেশের শান্তি বজায় রাখতে আমাদের যার যা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশ আমরা মেনে চলি এবং আজীবন চলবো। প্রধানমন্ত্রী আমার মা। তিনি আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন সেটাই পালন করবো। তিনি যদি বলেন, আগুনে ঝাপ দে, মুরাদ। আমি তাই করব।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ইউপি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশে মিডিয়াকর্মীদের জন্য যে কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করেছে বিশ্বে তা বিরল। আমরা অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা সাম্প্রদায়িকতার নামে নষ্ট হতে দেয়া যায় না। ইউপি নির্বাচনে যে হানাহানি, রক্তারক্তি চলছে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাহলে প্রশ্ন জাগছে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি কিনা। সমস্যা আসলে মানসিকতায়; আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে দেশকে ভালোবাসতে হবে। কেউ নির্বাচিত না হলে এমন কী ক্ষতি হবে? সবার প্রতি আহ্বান, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান, আর যেন কোন দাঙ্গা হাঙ্গামা না হয়ে এই আহবান জানান ডা. মুরাদ হাসান।
প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ আরও বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সজ্জন ব্যক্তি, সফল মানুষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আরেকজনকে দায়িত্ব দিলে ভাল হয়। শুধু ইউপি নির্বাচন বিবেচনায় না, সামনে জাতীয় নির্বাচনও আছে। তাছাড়াও অনেক কাজ আছে। সব যেন সুষ্ঠুভাবে ও সহজভাবে হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সজাগ, স্মার্ট, সতর্ক ও সক্রিয় হয়ে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হবার সুযোগ আসলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যা বলবেন তাই হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দেবেন সেটাই পালন করবে, তিনি তো আমাদের মমতাময়ী মা।
সময় জার্নাল/এসএ