নিজস্ব প্রতিনিধি: আহসানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনলোজির অধীনে আর কোনো নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়াও গত শনিবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত পাঁচ ব্যাংকের পরীক্ষার বিষয়ে রোববার (১৪ নভেম্বর) সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানানো হয়।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়েছে। একটি পরীক্ষায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রশ্নফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যকে প্রথমে গ্রেফতার করেন।
তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে ডিবি বলছে, ব্যাংকের পরপর চারটি নিয়োগ পরীক্ষায়ই প্রশ্নফাঁস করেছে চক্রটি।
ডিবির প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জড়িত সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহসানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনলোজির আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশ্নফাঁস হয়েছে। এ পর্যন্ত চক্রটি প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র ফাঁসের মাধ্যমে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৬০ কোটি টাকা।
১০ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানান।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় নতুন করে আরো ৩ জনতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- খোকন, সোহেল, জাহিদ। খোকন জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, সোহেল ইতোমধ্যে জনতা ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত। জাহিদ পরীক্ষার্থী সংগ্রহে এজেন্টের কাজ করতো। এদের সবাইকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে ডিবি। বৃহস্পতিবার ডিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সময় জার্নাল/এলআর