কুদরত-ই-গুল'র দুটি কবিতা
ভেদ
তুমি আমার অপার সম্ভাবনা ঘুমিয়ে থাকার মতোই নীরবে আছো।
যেমন বৃক্ষরা ঘুমায়ে থাকে বীজের ভিতর।
উপজাত ভালবেসে জাতকে চেনোনি তুমি।
যে গাছে বেদনার মতো লেগে আছে কাঁটা,
তাকে একটুও ভাল না বেসে শুধু ডুবে গেলে সৌরভে।
পাখিদের দুই চোখ, কেবলই কী পোকা আর মাকড়ের ঘর?
সেখানে কি পাওনি খুঁজে একটুও নরম আদর?
ঘামের দেহ থেকে বেরিয়ে আসা নুনে একটুও নেই কোন প্রেম!
অথচ সমুদ্রের প্রতি কী ভীষণ ভালবাসা তোমার!
মোনাজাত
যে আমি পানে পানে পানাসক্ত ছিলাম
বুদ হয়ে ডুবে ছিলাম, যেভাবে ডুবে থাকে জল বৃষ্টির ফোঁটার ভিতর।
হঠাৎ কিভাবে ডুবে গেলাম পানহীন নগরীর ভিতর।
আমার অতীত জাম ফেলে গেছি।
এখন কেবলই স্মৃতির রস জ্বাল দেয় কালের তাফাল।
পুরানো প্রিয়ার পানাসক্ত ঠোঁট জেগে ওঠে স্বপ্নের ভিতর।
গ্রীবার খুব কাছাকাছি ছেড়ে যাওয়া শ্বাসের মতন তোমাকে পেয়েছিলাম।
হে আমার সর্পিল শীর্ণ কল্লোলিনী।।
আরতিমুখর সন্ধ্যার মোনাজাতে শুনবে কি আমাকে তুমি?
বিস্ময়ের প্রথম চমক গেছে কেটে।
হে আমার দাত্রী।
ছায়াহীন, মায়াহীন অংবং ভুতের জীবন আমার।
করবে কি কবুল, হবে নাকি পানটান কিছু?
হে আমার জীবনের প্রথম ও শেষ পানশালা।
সময় জার্নাল/আরইউ