দেব প্রসাদ ত্রিপুরা :
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাংগা ও গুইমারা উপজেলার ১০ ইউপিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ নভেম্বর দিনব্যাপী নির্বাচনে বড় ধরনের কোন সহিংসতা ছাড়াই ২য় ধাপের এ নির্বাচন সম্পন্ন করলেন প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে ২টিতে স্বতন্ত্র এবং ৮ টি ইউপিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীরা বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন তাইন্দং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. পেয়ার আহাম্মদ মজুমদার ৫৪৬৫ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর পেয়েছেন ১০৬০ ভোট। তবলছড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল কাশেম ভুইয়া ৫০৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুর মোহাম্মদ পেয়েছেন ৫০২০ ভোট।
বড়নাল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ইলিয়াছ ২৩০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত মো. ইউনুছ মিয়া পেয়েছেন ২০৫৮ ভোট।
আমতলী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো: আবদুল গনি নৌকা প্রতীক নিয়ে ৩১১১ভোট পেয়ে বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. জমির আলী ভূইঁয়া পেয়েছেন ১৮২৬ ভোট।
গোমতি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. তফাজ্জল হোসেন নৌকা প্রতিক নিয়ে ৫০৮১ভোট পেয়ে বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন লিটন পেয়েছেন ২২১৭ ভোট।
বেলছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রহমত উল্ল্যাহ নৌকা প্রতিক নিয়ে ৫৯১০ভোট পেয়ে বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মামুন মিয়া পেয়েছেন ৯১৮ ভোট।
মাটিরাঙা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হেমেন্দ্র ত্রিপুরা নৌকা প্রতিক নিয়ে ৪০১২ ভোট পেয়ে বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ত্রিপন জয় ত্রিপুরা পেয়েছেন ২১০০ ভোট।
জেলার গুইমারা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে বিজয়রা সবাই আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী। তারা হলেন, গুইমারা সদর ইউনিয়নে নির্মল নারায়ন ত্রিপুরা, হাফছড়ি ইউপিতে মংশে চৌধূরী, সিন্দুকছড়িতে (২য় বার) রেদাক মারমা।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: সাইদুর রহমান বলেন, ‘‘সিভিল,পুলিশ, বিজিবি, সেনা প্রশাসন ও সর্বস্তরের নির্বাচন কর্মকর্তা এবং মিডিয়া কর্মীদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এমন সুন্দর নির্বাচন মাটিরাংগা ও গুইমারা উপজেলাবাসীকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে। আগামী সকল ধাপের নির্বাচনে এমন সহযোগীতা পেলে আরো বেশী সুষ্ঠু ও উৎসবমূখর নির্বাচন সম্ভব হবে।’’
উল্লেখ্য, মাটিরাংগা উপজেলার ২নং তবলছড়ি ইউনিয়নে নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষপাতিত্ব ও ভোট গননায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী নুর মোহাম্মদ আদালতের দারস্থ হচ্ছেন বলে জানা গেছে।