আব্দুল্লাহ চৌধুরী,নোয়াখালী প্রতিনিধি:
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ৪ ব্যবসায়ীকে মারধর করে লাঞ্ছিত করা এবং এক মার্কেটে তালা মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বসুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মারধরের শিকার ব্যবসায়ীরা হলেন, মোহাম্মদ আলী (৬৮), রহমানিয়া ফার্মেসীর আব্দুর রহমান (৬৪) রহীম উল্যাহ রিটু (৩৪) কেবি সুজ শোরুমের মালিক মফিজুল হক মিন্টু (৫৯)।
একই সময়ে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বসুরহাট বাজারে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে এবং বসুরহাট বাজারের জিরো পয়েন্টে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কর্তৃক পরিচালিত স্কাউট ভবন মার্কেটের সামনে মোটরসাইকেল পার্কিং ও ফল দোকান থাকার অভিযোগে মার্কেটের প্রধান ফটকে তালা মেরে দেয়। একই সময় একই অভিযোগ এনে বসুরহাটের রুপালী চত্বরের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল চৌধুরী ও তার ভাই সফিউল চৌধুরীর মালিকানাধীন তানহা কমপ্লেক্স ও চৌধুরী কমপ্লেক্সে নামের দুটি মার্কেটে তালা মেরে দেয় । পরে দুপুরের দিকে তানহা কমপ্লেক্স ও চৌধুরী কমপ্লেক্সে মার্কেটের তালা খুলে দেয়া হয় বলে জানা যায়।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বসুরহাট বাজারের কলেজ রোড ও বসুরহাট ব্যবসায়ী সমিতির সামনে এসব ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বসুরহাট রোডের ডাচ বাংলা ব্যাংকের সামনে অবস্থিত রহমানিয়া ফার্মেসী। আসস্মিক আজ সকাল ১১টার দিকে ওই ফার্মেসীতে ১০-১৫জন অনুসারীকে নিয়ে উপস্থিত হয় কাদের মির্জা। এ সময় তিনি ওই ফার্মেসীতে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন চৌধুরী সহ বিএনপির কয়েকজন নেতা বসার অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুর রহমান ও তার ছেলেকে মারধর করেন। একই সময়ে রহমানিয়া ফার্মেসীর সামনে অবস্থিত কেবি সুজ শোরুমের মালিক মিন্টুকেও মারধর করেন কাদের মির্জা। এ ছাড়াও কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ গ্রুপের অনুসারী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্নার বাবা মোহাম্মদ আলীকে তার দোকানের সামনে দোকানের জিনিস পত্র রাখার অভিযোগ তুলে মারধর করে কাদের মির্জা। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ভয়ে নাম প্রকাশ করে গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না জানান, আমি এলাকার বাহিরে অবস্থান করছি। আমার বাবার ওপর হামলার বিষয়ে লোক মুখে শুনেছি। বাবার নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বার বার ফোন করলেও ফোন বন্ধ পাচ্ছি। বাবার সাথে কথা বলে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শনিবার বিকেল ৪টা ৩৩মিনিটে একাধিকবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, মৌখিক ভাবে বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত আইনগত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.জিয়াউল হক মীর জানান, স্কাউট ভবনের মার্কেটে তালা দেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। বিষয়টি আমি দেখতেছি। পরে এ বিষয়ে জানানো হবে।
সময় জার্নাল/এলআর