এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় কয়লা বোঝাই একটি বলগেট ডুবে গেছে। চ্যানেলটির হাড়বাড়িয়ার ৯ নম্বর এ্যাংকরে থাকা একটি বিদেশী জাহাজ থেকে কয়লা বোঝাই করে ছেড়ে আসার পর সেলিং হওয়া অপর একটি বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে বলগেটটি ডুবে যায়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি কেউই।
কয়লা আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধি মো: আশিকুর রহমান জানান, বন্দরের হাড়বাড়িয়া এলাকার ৯ নম্বর এ্যাংকরে অবস্থানরত বিদেশী জাহাজ এম,ভি এলিনাবি থেকে সোমবার রাতে ৬শ থেকে সাড়ে ৬শ মেট্টিক টন কয়লা বোঝাই করে বলগেট এম,ভি ফারদিন। কয়লা বোঝাই শেষে ওই বিদেশী জাহাজ ছেড়ে প্রায় ৭শ গজ দূরে যেতেই সোমবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে সেলিং হওয়া অপর একটি বিদেশী জাহাজের সাথে বোঝাই বলগেটরি ধাক্কা লাগে। ওই সময়ে বলগেটটি ব্যাক গিয়ারে/ব্যাগারে থাকার কারণেই মুলত বিদেশী জাহাজের সাথে ধাক্কা খেয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফলে বলগেটতি মুহুর্তের মধ্যেই সেখানে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার মুহুর্তে বলগেটটিতে কয়জন ষ্টাফ ছিলেন, কেউ নিঁখোজ কিংবা হতাহত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি আশিকুর রহমান।
তিনি আরো বলেন, বলগেটটির কয়লা নিয়ে ঢাকার মিরপুরের গাবতলীতে যাওয়ার কথা ছিল। বলগেটটি হাড়বাড়িয়ার ৮ ও ৯ নম্বর এ্যাংকোরেজের মাঝামাঝি এলাকায় ডুবেছে বলেও জানান তিনি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দিন বলেন, জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যে বলগেটটি ডুবেছে সেটি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে পণ্য পরিবহণ করছিল। কারণ এক হ্যাজ বিশিষ্ট বলগেট ডিজি শিপিং থেকে নিষিদ্ধ। এ বলগেট বালু ছাড়া অন্য কোন পণ্য পরিবহণ করতে পারবেনা। এটির (বলগেট) বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিবো। বলগেটটির চলাচলে নিজস্ব কোন যোগাযোগ (যান্ত্রিক বাতার্ আদান-প্রদাণ) ব্যবস্থা নেই। ফলে বলগেটটি জানেও না যে ওই সময়ে মার্চেন্ট শিপ মুভমেন্ট হচ্ছিল, তাই দুইটি বিদেশী জাহাজ সেলিং হয়ে যাওয়ার সময় একটির পিছনের অংশে ধাক্কা খেয়ে সেটি ডুবে যায়।
তিনি আরো বলেন, বলগেটটি মুল চ্যানেলের বাহিরে পূর্ব পাশে ডুবেছে, এতে জাহাজ চলাচলে কোন সমস্যা হবেনা। এর আগে গত ৮ অক্টোবর সার নিয়ে বন্দরের পশুর নদীতে ও ৯ অক্টোবর পাথর নিয়ে ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় দুইটি কাগোর্ জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটে।
সময় জার্নাল/ইএইচ