এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খাদ্যসামগ্রীসহ মোট ১১টি গ্রুপের আইটেমের টেন্ডার আহবানে তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি বছরের জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত এই টেন্ডার ১ বছরের জন্য আহবান করা হয়। কিন্তু ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের পরিচালক সময়সীমার ৪ মাস অতি বাহিত হলেও অদ্য পর্যন্ত এ বছরের টেন্ডার আহবান করেন নাই। অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী এ টেন্ডারের সাথে যুক্ত থাকে- তারাই টেন্ডারর সব নিয়ন্ত্রণ করে।
সারা বাংলাদেশের ন্যায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এতো দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এদের মতো এরা কাজ করেই যাচ্ছে। সম্প্রতি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে পর্দা কেলেঙ্কারী ঘটনা ঘটেছে গণমাধ্যমের মাধ্যমে তা সারা পৃথিবীর জনগন জানে। এ দুর্নীতির কারনে কয়েকজন ডাক্তারের চাকরী চলে যায়। তারপরেও থামছে না তাদের অপকর্ম। একাধিক ব্যক্তিরা জানান ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পিছনে কোন এক অদৃশ্য শক্তি বিরাজ করছে যা খুশি তাই করে যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ঠিকাদার জানান, অদৃশ্য একটি শক্তি বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে যুক্ত আছে বিধায় তারা কোন কিছু বলতে গেলে আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বলে- তোমরা তো জামাত বিএনপির জোট। আমরা এই ভয়ে কোন কথা বলি না। আমরা কোন দল করি না, আমরা পেট বাঁচানো দল করি।
তারা এ ও বলেন, যখন প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করবে আমরা জামাত বিএনপি তখনতো এলাকা ছাড়তে হবে। তাই আমাদের নামগুলো পত্রিকায় বা কারো কাছে প্রকাশ করবেন না।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার খাদ্য সামগ্রী সহ ১১ টি গ্রুপে হাসপাতাল আভ্যন্তরীণ টেন্ডার হয়।
এবিষয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা: সাইফুর রহমান জানান, মহামারী করোনার কারনে টেন্ডার আহবান করতে পারি নাই। টেন্ডার আহবানের প্রস্তুতি চলছে ।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালটি শুরু থেকে ২৫০ সজ্জা বেড নিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আঃলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ৭৫০ সজ্জা বেডে উন্নীতকরন করা হয়।
সময় জার্নাল/ইএইচ
