জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
সোহেল রানা একজন কলেজের প্রভাষক। এবারে তৃতীয় ধাপে ইউনিঢন পরিষদ নির্বাচনে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন তিনি।
তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে পথসভা, উঠান বৈঠক, হাটসভা করে চলেছেন এই প্রার্থী। সেই সাথে ইউনিয়নের ভোটারদের মাঝে গিয়ে তাদের সাথে বাক আদান প্রদান করছেন তিনি।
এই প্রার্থী একজন প্রভাষক হওয়ায় সচেতন ভোটারদের মধ্যে একটি আলাদা বিষয় কাজ করছে। সমাজ পরিবর্তনে যেখানে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই সেখানে সমাজের অধিপতি একজন শিক্ষক হলে মন্দ হবেনা এমন ভাবনা আসাটাই স্বাভাবিক।
এই প্রার্থীর সমর্থকগণ জানান, শিক্ষাগুরু যদি সমাজের বিশেষ স্থানে অধিষ্ট হয় তাহলে সমাজ পরিবর্তন হবে। শিক্ষকগণ সর্বোত্তম নীতি নির্ধারকের কাতারের মানুষ। আর একটি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচিত হলে উন্নয়ন তরান্বিত হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে তার একটি আলাদা চোখ থাকবে। আর শিক্ষার মান ও প্রসার বৃদ্ধি হলে সমাজ পরিবর্তন হবে। সমাজে একজন সচেতন ব্যক্তি প্রতিনিধিত্ব করলে সমাজের রুপ বদলে যাবে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাষক সোহেল রানা বলেন, আমি একজন শিক্ষক মানুষ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একজন শিক্ষানুরাগী নেত্রী। তিনি বিশ্বাস করেন সমাজে সচেতন মানুষরা নেতৃত্ব দিলে সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। তাই তিনি আমাকে তার দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। জনগণ যদি আমাকে নির্বাচিত করে তবে আমি সমাজে সবার আগে সচেতনতা বৃদ্ধিতে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো এবং নারীরা যাতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে সেজন্য তাদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে বলব।
এজন্য অভিভাবকদের সচেতন করার চেষ্টা করবো এবং সবার আগে বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করবো। দেশ উন্নত হচ্ছে। রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় হয়ে যাবে। এর জন্য আমার গুরুত্ব থাকবে অপরিসীম। আমার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে আমি একটি পরিবর্তনের লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে এমন সুযোগ করে দেয় তাহলে আমি তা যথাসাধ্য পালন করার চেষ্টা করবো। একটি সচেতন সমাজব্যবস্থা একটি রাষ্ট্রের জন্য খুবই জরুরি। তাই বলবো একটি করে মূল্যবান ভোট সমাজ পরিবর্তনের স্বার্থে ইউনিয়নবাসী আমাকে দিবেন।
এদিকে ভোটার যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচন করতে সর্বোচ্চ অধিকার তথা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এমন প্রত্যাশা করছেন। ভোটাররা একটি সুষ্ঠু পরিবেশে নিজেদের মতামত যেনো প্রদান করতে পারেন সেজন্য প্রশাসনকে সজাগ থাকার আহ্বান করেন। উপজেলা নির্বাচন অফিসের সূত্রে জানা যায়, এই ইউনিয়নে ছয় জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামি ২৮ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সময় জার্নাল/এলআর