আন্তর্জাতিক ডেস্ক। প্রবল বর্ষণে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের রায়লসীমা অঞ্চলে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক মানুষ। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধু কাদাপা জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। নিখোঁজ ১২ জন। বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে রাজ্যের রায়লসীমা অঞ্চলের তিন জেলা এবং একটি উপকূলীয় জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া দপ্তর।ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানায়।
খবরে বলা হয়, মন্দিরের শহর তিরুপতিতে বন্যার কারণে বহু পুণ্যার্থী আটকে পড়েছেন। তিরুমালা পাহাড়ে মন্দিরের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্বর্ণমুখী নদীর পানি বেড়ে গেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কাড়াপা জেলায় হড়পা বানে যাত্রিবোঝাই একটি সরকারি বাস ভেসে গিয়েছে। বেশিরভাগ যাত্রীকে উদ্ধার করা গেলেও ১২ জন ভেসে গেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে রাজমপেটের মণ্ডপল্লি, আকেপাড়ু এবং নন্দলুরুতে ৩০ জন ভেসে গেছেন বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। তিরুপতি থেকে কাড়াপা যাওয়ার সড়ক এবং রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যানবাহন এবং ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ও রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল মোতায়েন করা হয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে। বন্যার কারণে সড়ক ও রেলপথের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রায়ালাসিমা অঞ্চলের চিতোর, কাদাপা, কুরনুল এবং অনন্তপুর জেলা।
বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টি থামছে না। চেয়ুরু নদীতে পানি উপচে পড়ছে। এদিকে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কাদাপা বিমানবন্দর ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সময় জার্নাল/আরইউ