সময় জার্নাল প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্বোধন হল শিশু সার্জারি বিভাগে স্কিল ল্যাব, ডিজিটাল লাইব্রেরি, ৩টি ডিভিশন তথা পেডিয়াট্রিক (শিশু) ইউরোলজি ডিভিশন, নিউনেটাল (নবজাতক) সার্জারি ডিভিশন ও পেডিয়াট্রিক সার্জিক্যাল অনকোলজি ডিভিশন এবং হিজরা নামে পরিচিত তৃতীয় লিঙ্গের শিশুদের চিকিৎসার জন্য ডিসঅর্ডার অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট বহির্বিভাগ ক্লিনিক।
রবিবার (২১ নভেম্বর) প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ব্লকের ৫ম তলায় শিশু সার্জারি বিভাগে স্কিল ল্যাব, ৩টি ডিভিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে ডিসঅর্ডার অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট বহির্বিভাগ ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেন।
সমাজে হিজরা নামে পরিচিত তৃতীয় লিঙ্গের শিশুদের চিকিৎসার জন্য ডিসঅর্ডার অফ সেক্স ডেভেলপমেন্ট বহির্বিভাগ ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। মূলত তৃতীয় লিঙ্গসহ অপূর্ণাঙ্গ বা ক্রটিপূর্ণ লিঙ্গ নিয়ে জন্মগ্রহণকারী শিশুদের শারীরিক ফেনোটাইপ (বাইরের প্রজনন অঙ্গ) ও জেনোটাইপ (জিনগত ভিতরের প্রজনন অঙ্গ) অনুযায়ী সার্জারিসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ লিঙ্গে রূপ দিতে এই মহতী ক্লিনিকটি চালু করা হলো। এটাকে রূপান্তরিত লিঙ্গ বা ট্রান্সজেন্ডারও বলা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের এই উদ্যোগ জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা পূরণে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, শূন্যের কোটায় আসবে থার্ড জেন্ডার’ সকলে মিলে চেষ্টা করলে এবং এবিষয়ে জনসচেতনা সৃষ্টির মাধ্যমে আন্দোলনে পরিণত করতে পারলে অবশ্যই এই শ্লোগান বাস্তবায়ন করা সম্ভব। রূপান্তরিত লিঙ্গ বা ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে মানুষ অনেক কিছুই জানেন না। সমাজে যারা হিজরা নামে পরিচিত চিকিৎসার মাধ্যমে তারা পূর্ণাঙ্গ নারী বা পুরুষে রূপান্তরিত হতে পারে। যদি শিশুকালেই এই সমস্যা সমাধানের জন্য শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের পরামর্শ গ্রহণ করে চিকিৎসা নেয় তবে এই সমস্যায় ভুক্তভোগীরা চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি লাভ করবে। তবে এজন্য অভিভাবক ছাড়াও শিশু ও নবজাতক বিষয়ক চিকিৎসকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ এই আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, শিশু অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, মেডিক্যাল টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম খান, শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমিন, অধ্যাপক ডা. মোঃ তোসাদ্দেক সিদ্দিকী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুশংকর কুমার মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক আবু ছালেহ মোঃ অলি উল্লাহ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ নুরুজ্জামান, কনসালট্যান্ট ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমুখসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের শিশু সার্জারি বিভাগ, শিশু ও নবজাতক বিভাগের শিক্ষক ও চিকিৎসকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই