মোঃ আবদুল্যাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে এসএসসির জীববিজ্ঞানের পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মো. ছালা উদ্দিন (২০) নামের এক যুবক। অভিযুক্ত মো. ছালা উদ্দীন নরোত্তমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ও উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের অলি উল্যাহর ছেলে।
সোমবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জমিদার হাট বিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে ১ বছরের কারাদণ্ডও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। বেগমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুন নাহার এ দণ্ডাদেশ দেন।
জমিদার হাট বিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব মহিন উদ্দিন বলেন, সকালে আমাদের কেন্দ্রে এসএসসির জীববিজ্ঞানের পরীক্ষা চলছিল। এসময় শিক্ষার্থী জহির উদ্দিনের (২২) পরিবর্তে তার ছোট ভাই ছালা উদ্দিন পরীক্ষায় বসেন। বিষয়টি প্রথমে আমাদের দৃষ্টিতে পড়েনি। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ বছরের কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,তার বড় ভাই সৌদি আরবে থাকায় প্রক্সি দিয়ে আসছিলেন ওই যুবক।
বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামসুন নাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছালা উদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে ওই যুবকের প্রবেশপত্র ও রেজিস্টেশন কার্ড যাচাই-বাছাই ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সে বড় ভাইয়ের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করে। পরে ওই যুবককে পাবলিক পরীক্ষা আইনে সাজা দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। আর প্রকৃত ছাত্র জহির উদ্দিনকে চলতি এসএসসি পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করা হয়।
সময় জার্নাল/এলাআর