অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে যাত্রী সেজে মো. মোহন ওরফে সুজন (১৫) নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার পর তার মৃতদেহ একটি পরিত্যক্ত (নিঝুম) খালে ফেলে যায় দুষ্কৃতকারী চক্র।
আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে খবর পেয়ে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরভূতা গ্রামের একটি খালপাড় থেকে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মোহন ওরফে সুজন পাশ্ববর্তী তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের শহরকসবা গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিনের ছোট ছেলে। এ কিশোর বয়সে সংসারের অভাব-অনটনের কারণে মোহন তার প্রতিবেশী শামসুল হকের ভাড়া অটোরিকশা চালাতো।
তার অটোরিকশা ও মোবাইলের সন্ধানে পুলিশ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে বলে বিষয়টি মুঠোফোনে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন।
মোহনের মা খুকি বেগম জানান, তার ছেলে অটোরিকশা চালিয়ে প্রতিরাতে বাড়ি ফিরে যেত। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যায় পর থেকে সে আর বাড়িয়ে ফিরে যায়নি। সকালে তার মৃতদেহ পাওয়ার খবর শোনেন তিনি। তার ধারণা, কেউ তার অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে তাকে হত্যা করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে খাল পাড়ে লোকজন মোহনের মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
লক্ষ্মীপুর সদর (মডেল) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হয়েছে এটি একটি হত্যাকান্ড। ছিনতাইকারীরা যাত্রী সেজে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করতে পারে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর