গোলাম আজম খান, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
উখিয়া - টেকনাফ রোহিঙ্গাদের আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ১২৬ পরিবারের ২৫৭ জন রোহিঙ্গা নাগরিককে বহনকারী সাতটি বাস চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন। তবে সপ্তম দফায় কতসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হবে তা নিশ্চিত করেননি।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ১৮ হাজার ৩৩৪ জন রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করেছে সরকার।
এরপর দীর্ঘ আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে গত ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি প্রকাশ করে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর।
সমঝোতা স্মারকটি সই হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের ১২৬ পরিবারের ২৫৭ জনের আরও একটি দল ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
গত বছর সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ১ লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। এ নিয়ে গত ডিসেম্বর মাসের আগেই ভাসানচরে সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয় দিতে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধার নির্মাণ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে।
সামছু-দৌজা বলেন, বুধবার সকালে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে সপ্তম দফায় প্রথমদিনের প্রথম ধাপে রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসের একটি বহর চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এসব রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে পৌঁছানোর পর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ১২৬টি পরিবারের ২৫৭ জন রোহিঙ্গাকে সাতটি বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা শুরু হয়। এই কার্যক্রম সকাল থেকেও অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর