মোঃ হাবিবুর রহমান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি (দিনাজপুর):
দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ডরমিটরি-২ এর রিডিং রুম এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান।
২৪ নভেম্বর রোজ বুধবার সন্ধা ৭ টায় রিডিং রুম এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন অত্র হলের হল সুপার প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধক্ষ প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মামুনুর রশীদ ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ। সহ বিভিন্ন হলের সুপার ও সহকারী হল সুপারগণ।
সহকারী অধ্যাপক মোঃ জুয়েল সরকার এর উপস্থাপনায় ও ডরমিটরি-২ হল সুপার প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম রব্বানী এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথীর বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. এম.কামরুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন তার অংশ হিসেবে তিনি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা যেন আমি সঠিকভাবে পালন করতে পারি।
সেইসাথে তিনি উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তাতে যেন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হয়ে তোমরা ছাত্ররাও অংশ নিতে পারো সেভাবে তোমাদের তৈরি হতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মামুনুর রশীদ ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ ডরমিটরি- ২ হল সুপার প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী কোষাধক্ষ প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার।
অত্র হলের আবাসিক সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইলিয়াস,জামান,ফারুক,দেলোয়ার,রাশেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন এসময় তারা ছাত্রদের বিভিন্ন সমস্যা ও দাবিদাওয়ার বিষয়গুলো হল প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য ডরমিটরি -২ হলের আবাসিক ছাত্রদের দীর্ঘদীনের দাবি ছিল একটি রিডিং রুম স্থাপন করা গত বছর করোনা অতিমারীতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের আগে এর কাজ শুরু হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে আজ তা খুলে দেওয়া হয়। রিডিং রুম স্থাপন করায় আবাসিক শিক্ষার্থীরা ধন্যবাদ জানিয়েছে হল প্রশাসন সহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে।
ডরমিটরি-২ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, রিডিং রুম আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো আমাদের হলে যে অপূর্ণতা ছিলো আজ তা পূরণ হলো এজন্য হল প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। সেইসাথে রিডিং রুমে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের বই সংযোজন করা হলে খুবই ভাল হতো।
সময় জার্নাল/এলআর