ইবি প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় ।
সোমবার (২২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ইবি পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তাদের হাতে ‘সাম্প্রদায়িকতা রুখো, বীর বাঙালি জাগো’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’, ‘সংখ্যালঘুর রক্ত, কবে হবে বন্ধ?’, ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’, ‘সুনামগঞ্জে হামলা কেন, বিচার চাই,’ সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. ধনঞ্জয় কুমারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার, প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, আইসিটি বিভাগের প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. গৌতম কুমার দাস, সহকারী প্রক্টর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর শফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শাখা ছাত্রলীগ ও ছাত্র মৈত্রীর নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নোয়াগাঁও গ্রামের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। প্রায়ই সংখ্যালঘুরা হামলার শিকার হচ্ছে। কিন্তু এর কোন স্থায়ী সমাধান হচ্ছেনা। আমরা প্রতিবাদ মিছিল করি এবং কিছুদিন পরেই ভুলে যাই। এজন্য আমরা চাই এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হোক। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের পিছনে থাকা মাস্টারমাইন্ডদের খুঁজে বের করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সময় জার্নাল/আরইউ