আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হচ্ছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের করোনা রোগী। ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত দুটি ফ্লাইটের অন্তত ১৩ যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। রোববার ডাচ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নেদারল্যান্ডসে আসা দু’টি ফ্লাইটের ৬০০ যাত্রীর মধ্যে ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরে তাদের মধ্যে ১৩ জনের শরীরে করোনার উদ্বেগজনক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার দেশটির স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়া ওই যাত্রীদের বিমানবন্দরের কাছের হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয় করোনার বি.১.১৫২৯ নামের রূপান্তরিত ধরন। পরে গ্রিক বর্ণমালা অনুসারে যার নাম দেওয়া হয় ওমিক্রন। ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বাইরে বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ইসরায়েল ও হংকংয়ে পাওয়া গেছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান।
যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত হওয়া রূপান্তরিত ধরনটির স্পাইক প্রোটিন মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে অনেকটাই ভিন্ন। ফলে, মূল করোনাভাইরাস থেকে এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক বেশি; এমন শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনটি মূল ভাইরাস ও তার অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর চেয়ে অনেক দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়তে বা মানুষকে আক্রান্ত করতে সক্ষম।
ডব্লিউএইচওর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেসব পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে; করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিরাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা সব ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী হুগো ডে জঙ্গে জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে রওনা হয়ে যেসব যাত্রী এখনও পথে রয়েছেন, নেদারল্যান্ডসে পৌঁছানোর পর তাদের প্রত্যেকের করোনা টেস্ট করা হবে।
এমআই