স্পোর্টস ডেস্ক। চতুর্থ দিনে যার দিকে তাকিয়ে ছিল টিম বাংলাদেশ সেই মুশফিক ফিরে গেছেন বোল্ড হয়ে। এর পর কিছুক্ষণ দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেছেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলী ও লিটন দাস। তবে মাথায় বল লাগার পর রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ইয়াসির।
সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ পাঁচ উইকেটে ৯৫ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে লিড দাঁড়িয়েছে ১৩৯। ক্রিজে আছেন ইয়াসির আলী (২৩) ও মিরাজ (০)।
চতুর্থ দিনে হাসান আলীর প্রথম ওভারেই চার মেরে শুরু করেন মুশফিক। এক বল বিরতি দিলে তৃতীয় বলে ঘটে অঘটন। হাসান আলীর ইনসুইঙ্গারে অফ স্টাম্প উপড়ে যায় তার।
এরপর লিটন-ইয়াসীর দ্রুতগতিতে ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন লিড বাড়ানোর তাড়নায়। তাতে যে আউটের সুযোগ আসেনি এমনও নয়। কিন্তু পাকিস্তান সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। ২৭তম ওভারে লিটনকে স্টাম্পিং করার সহজ সুযোগ মিস করে পাকিস্তান। নুমান আলীর বল অনেক বাইরে বেরিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল গ্লাভসে জমাতে পারেন রিজওয়ান।
ইনিংসের ৩০তম ওভারে শাহীনের শর্ট বল হেলমেটে লাগে ইয়াসিরের। তখনও ব্যাট করে যাচ্ছিলেন। তবে পরের ওভারে আর ক্রিজে থাকেননি। রিটায়ার্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইয়াসির। তার আগে লিটনকে সঙ্গে নিয়ে গড়েছেন ৪৭ রানের জুটি।
এর আগে বাংলাদেশ বিপদে পড়ে তৃতীয় দিন বিকালে। চার ওভার পর্যন্ত শাহীন-হাসানদের গতি সামলান দুই ওপেনার। পঞ্চম ওভারে গিয়ে আর পারেননি ওপেনার সাদমান। তাকে এলবিডব্লিউতে সাজঘরে ফিরিয়েছেন শাহীন। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি তখন। এক বল পর নাজমুল শান্তকে আব্দুল্লাহ শফিকের ক্যাচ বানান তিনি।
দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়ে যান অধিনায়ক মুমিনুল। তাকে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসান আলী। লিডিং এজ হয়ে বল জমা পড়ে আজহার আলীর হাতে। তাতে টানা দুই ইনিংসে ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক।
১৫ রানে ৩ উইকেট পড়ে গেলে মনে হচ্ছিল সাইফ-মুশফিক প্রতিরোধ গড়ে খেলবেন। সেটাও করা যায়নি শাহীন আফ্রিদির কারণে। প্রথম ইনিংসের মতো বাউন্সারেই সাইফকে কাবু করেছেন এই পেসার। সাইফ ফিরেছেন ১৮ রান করে।
২৫ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেছেন মুশফিকুর রহিম। সঙ্গী হন ইয়াসির আলী। কিন্তু মুশফিক ফিরে গেছেন দিনের শুরুতেই। ৩৩ বলে করেছেন ১৬ রান।
টাইগারদের ৩৩০ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে দেওয়ার পর পাকিস্তানও বেশি সুবিধা করতে পারেনি নিজেদের ইনিংসে। তাইজুলের ঘূর্ণিতে জাদুতে গুটিয়ে যায় ২৮৬ রান করে।
সময় জার্নাল/আরইউ