ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় নিহত বেড়ে চারজন হয়েছে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মাঝারুল (৪০) ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী আদিত্য রায় (১৭) এবং সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমা বেগম মারা যান। এর আগে রোববার রাতে শাহপলি (২৭) নামে একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মাঝারুলের চাচা আজমল বলেন, মাঝারুলের শরীরে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করি। সঙ্গে সঙ্গেই অবস্থার অবনতি দেখে তাকে নিয়ে রংপুর মেডিকেলে রওয়ানা হই। কিন্তু পথেই সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
রোববার রাতে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত গ্রাম পুলিশ শগেনের তথ্য মতে, ভোট শেষ হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণা করতে দেরি করছিল প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সঙ্গে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামানের সমর্থকদের বিতর্ক হয়। পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নৌকার প্রার্থী শহীদ হোসেনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।
ফলাফল ঘোষণার পর নাখোশ কিছু এলাকাবাসী ভোটকেন্দ্র অবরুদ্ধ করে। এতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পালাতে সক্ষম হন। তবে একটি রুমে তিনজন পুলিশ ও ১২-১৩ জন আনসার সদস্য আটকা পড়েন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভোটে দায়িত্বরত সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব মো. সামসুজ্জামান কিছু পুলিশ ও দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্যসহ উপস্থিত হন। নিয়ন্ত্রণ অনুকূলে আনতে গুলি ছোড়ে বিজিবির সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলে একজন মারা যান এবং চারজন আহত হন।
সময় জার্নাল/এলআর