নিজস্ব প্রতিবেদক : মানুষ মেলায় আসছে ঘুরছে আবার ভেতরে অদৃশ্য এক ভয়ও কাজ করছে। বলা যায় আনন্দ ও আশঙ্কায় চলমান এবারের বইমেলা। তবু সবার প্রত্যাশা মেলা শেষ অব্দি স্বাস্থবিধি মেনে চালু থাকুক। আনুষ্ঠানিকভাবে বইমেলা শুরু হলেও এখনো শেষ হয়নি কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়নের নির্মাণ।
মেলায় ঢুকতে পাওয়া গেলো কথাসাহিত্যিক মোহিত কামালকে। মেলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভালো লাগছে চারপাশ। বেশ গোছানো মনে হচ্ছে। কিন্তু একটা ভয়ও কাজ করছে। প্রতিদিন যে হারে করোনা রোগী বাড়ছে, তাতে মেলা কতদিন চলমান থাকবে বুঝতেছি না।
আর একটু এগুতে পাওয়া গেলো ফটোগ্রাফার ও লেখক সুদীপ্ত সালামকে। তিনি জানান, মেলার পরিসর বড়। কিন্তু ভয়াবহ পরিস্থিতি সত্বেও ভেতরে অনেক মানুষ (দর্শক-ক্রেতা-স্টল প্রতিনিধি) মাস্ক পরছে কিনা তা আরো কঠোরভাবে দেখা জরুরি। দরকার তদারকী। এখন পর্যন্ত তা হতে দেখিনি। আমি প্রায় আসি। এবারের মেলায় চারুলিপি প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে আলোকচিত্রপুর নামে একটি বই।
শব্দশিল্প প্রকাশনির সামনে গেলে, দেখা পাই কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা সহাকারী অধ্যাপক শিরীনা বিথীর সঙ্গে। মেলায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর যৌথ গল্পের বই ভালোবাসার পঙতিমালা। মেলার পরিবেশ নিয়ে তিনি খুব উচ্ছসিত। আবার আসবেন বলেও জানান।
বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী : স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে আবুল মোমেন লিখিত প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলা একাডেমির সহপরিচালক সাহেদ মন্তাজ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আবুল কাশেম এবং ফওজুল আজিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক খুরশীদা বেগম।
সময় জার্নাল/এমআই