মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বজলুর রহমানের। তিনি ওই ওয়ার্ডের গোপালনগর গ্রামের কলিম উদ্দিনের পুত্র। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় সদস্য পদে অন্যান্য প্রার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন বজলুর রহমানের সাজার ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে দাবি করেছে। তবে আবদুস সাত্তার নামে ওই ওয়ার্ডের অপর এক সদস্য প্রার্থী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট বিষয়টি ‘আপিল’ এর মাধ্যমে অভিযোগ করেন।
ইউপি সদস্য প্রার্থী আবদুস সাত্তার জানান, আগামী ২৬ ডিসেম্বর রোববার চতুর্থ ধাপে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ১২ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে শ্রীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে অন্যান্য প্রার্থীদের ন্যায় সাজাপ্রাপ্ত বজলুর রহমানের মনোনয়নপত্রও বৈধ হিসেবে ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন। এ নিয়ে শ্রীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোপালনগর, খেয়াইশ ও যশপুর গ্রামসহ পুরো উপজেলায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালতে ৫টি মামলা চলমান রয়েছে। এরমধ্যে ২০০৯ সালের ২৫ ডিসেম্বরের একটি হাফ মার্ডার মামলায় আদালত ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩ বছরের সাজা প্রদান করে। ওই মামলায় অন্য আসামীদের খালাস দেয় আদালত।
অনেকে অভিযোগ করেন, সাজার কারণে সাধারণ সদস্যপদে তার প্রার্থীরা বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় কৌশলে তিনি তার স্ত্রী নাজমা বেগমকেও প্রার্থী করিয়েছেন। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের দিন বজলুর রহমান ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমসহ ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বজলুর রহমান বলেন, সাজার বিষয়টি সত্য। তবে আমি আপিল করে জামিন পেয়েছি।
রিটার্নিং অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘যাচাই-বাছাইয়ের দিন কেউ কোন অভিযোগ করেনি। বজলুর রহমান নামের সদস্য প্রার্থীর সাজার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে’।
সময় জার্নাল/এলআর