সময় জার্নাল প্রতিবেদক : বৃহত্তর বগুড়া সমিতি, ঢাকা’র কার্যকরী সংসদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে (২০২২-২০২৩) কৃষিবিদ কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামলকে সভাপতি এবং ড. আহসান হাবিব রুবেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার হাতিরপুলের সোনারগাঁও রোডে অবস্থিত বৃহত্তর বগুড়া সমিতির অফিসে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গতকাল ৩ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ছিল ‘বৃহত্তর বগুড়া সমিতি, ঢাকা’র কার্যকরী সংসদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে (২০২২-২০২৩) বিভিন্ন পদে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় এবং প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে প্রার্থী থাকায় নির্বাচন কমিশনার ৩২ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির ৩১ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন। সমিতির গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক মনোনয়নপত্র দাখিল না হওয়ায় একজন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল ঘোষিত হয়।
নবনির্বাচিত সভাপতি কৃষিবিদ কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রুপ ও ওয়ান ফার্মা লিমিটেডের কর্ণধার। তার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। এই প্রকল্পের নকশা বাস্তবায়ন এবং অর্থায়ন করায় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ মোস্তফিজুর রহমানকে গর্বিত অংশীদার স্বীকৃতি দিয়েছে।
এছাড়াও শিক্ষানুরাগী মোস্তাফিজুর রহমান একজন সফল ব্যবসায়ী এবং সিআইপি। আশির দশকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি শেষ করলেও এখনো ক্যাম্পাসের সাথে তার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তার অর্থায়নে নিয়মিত পরিচালিত হয় পিএইচডি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের আওতায় প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী দেশে–বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় দেশব্যাপী অনেকগুলো জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ‘বৃহত্তর বগুড়া সমিতি’ ঢাকায় বসবাসরত বৃহত্তর বগুড়াবাসীর একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন। বগুড়া ও জয়পুরহাট জেলা নিয়ে বৃহত্তর বগুড়া সমিতি গঠিত। ১৯৬২ সাথে তৎকালীন বর্ধমান হাউজে (বর্তমানে বাংলা একাডেমী) বাংলা একাডেমীর তৎকালীন সেক্রেটারী একেএম আজিজকে সভাপতি এবং গবেষক ও জাতীয় যাদুঘরের কর্মকর্তা ও পরবর্তীতে মহাপরিচালক ড. এনামুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে প্রথম ‘বগুড়া সমিতি’ গঠন করা হয়। এই কমিটির উদ্যোগে ১৯৬৩ সালে ‘বগুড়া সমিতি’ ঢাকা নামে সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরে নিবন্ধিত হয়। সমিতির কার্যক্রম নিজস্ব গঠনতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত হয়। রাজধানী ঢাকার বুকে বৃহত্তর বগুড়াবাসীকে বাৎসরিক বনভোজন ও ইফতার মাহফিল আয়োজন, বৃহত্তর বগুড়া জেলার মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, বগুড়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পৃষ্ঠপোষকতা, বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজন ‘ঢাকাস্থ বৃহত্তর বগুড়া সমিতি’ কর্তৃক গৃহিত কার্যক্রম সমূহের মধ্যে অন্যতম।
সময় জার্নাল/এসএ