কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ার সশস্ত্র ডাকাতদলের সঙ্গে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চিংড়ি জোন পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ইলিশিয়া ডেবডেবী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ৫৫০ একর বিশিষ্ট একটি চিংড়ি প্রকল্প জবর-দখলের উদ্দেশ্যে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রধারী ডাকাত-সন্ত্রাসীরা অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে অভিযানে গেলে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ডাকাতদল। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা জবাব দেয়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
র্যাব জানায়, একপর্যায়ে ডাকাত-সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয় দুই সন্ত্রাসীকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একনলা বন্দুক, থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও পিস্তল। সেই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ গুলি, গুলির খোসা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র। পরে গুলিবিদ্ধ দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। অপরদিকে অস্ত্রধারী-সন্ত্রাসীদের আর কোন সদস্য আহত হয়েছে কী-না তা সঠিকভাবে জানা যায়নি।
খবর পেয়ে চকরিয়া থানার একদল পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে নিহত দুইজনের লাশ হেফাজতে নিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণাধীন কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ক (সিও) ল্যাফটেনেন্ট কর্ণেল মো. খায়রুল ইসলাম। তিনি সোমবার সকালে বলেন, ‘অভিযানে গেলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রায় ১০০ গজ দূর থেকে অস্ত্রধারী ডাকাত-সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে অন্তত ৭০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পাল্টা জবাবে র্যাবও অন্তত ২০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে অস্ত্রধারী-সন্ত্রাসীরা দ্রুত পিছু হটলেও ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গুলি, গুলির খোসা, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় গুলিবিদ্ধ মাটিতে পড়ে থাকা দুই সন্ত্রাসীকে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।’
র্যাবের অধিনায়ক জানান, এই ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণসহ মামলার প্রস্তুতি এবং অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে র্যাব কর্তৃক আটক দুই সন্ত্রাসী এবং নিহত দুইজনের সঠিক পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাদের পরিচয় শনাক্তে উভয় বাহিনী কাজ করছে।
চিংড়িজোন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, চিংড়ি প্রকল্পটি বর্তমানেও বৈধভাবে ভোগ-দখলে রয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসাইন শাওন।
সময় জার্নাল/এসএ