জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস্ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এর কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন না দেওয়ার গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে মেয়াদ উর্ত্তীন কমিটির বিরুদ্ধে। সংগঠনের সদস্যরা গঠনতন্ত্র মেনে অবিলম্বে নির্বাচনের জোর দাবি জনিয়েছেন।
সংগঠনের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। এ অবস্থায় মেয়াদ উত্তীর্ণের বিষয়টি দিনাজপুর আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন ও উপ পরিচালক: আবুল বাশারের নজরে আনা হলে তিনি গত ২৬ অক্টোবর কমিটির সভাপতি-সম্পাদক বরাবর একটি পত্র প্রেরন করেন। পত্রে উল্লেখ করা হয় কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও নির্বচানের আয়োজন করা হয়নি, ২০১৯-২০ সালের বার্ষিক আয়-ব্যয় বিবরনী ওই দপ্তরে দাখিল করা হয়নি।
সংগঠনের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর আলম সরকার নবাব বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিকে সংগঠন সুষ্ঠ ভাবে পরিচালিত হতে পারে না। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কেন নির্বাচন দিতে গড়িমসি করছে তা বুঝতে পারছি না।
বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় আমি গত ১৮ অক্টোবর দিনাজপুর আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপ পরিচালক বরাবর লিখিতভাবে অভিযোগ করলে ২৮ অক্টোবর আমাকে, মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটির সভাপতি-সম্পাদক এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে দিনাজপুরে হাজির হতে বলা হয়।
মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটির সভাপতি উজ্জল হোসেন বলেন, করোনা মহামারি জন্য আমাদের কমিটির সঠিক ভাবে কার্য পরিচালনা করতে পারেনি। আমরা দ্রæত নির্বাচন দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করছি। ৪৫ দিনের মধ্যে যেহেতেু নির্বাচন দেওয়ার জন্য একটি পরিপত্র জারি করছে যেহেতু নির্বাচনী প্রস্তুত করতে আমরা বাধ্য।
দিনাজপুর আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের রেজিষ্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন ও উপ পরিচালক আবুল বাশার মুঠো ফোনে জানান, ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও বলা হয়েছে পরিপত্রে।
ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, চলতি মাসেই মিলে আখ মাড়াই চালু হতে। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে মিলের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। তবে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যদি কেউ নির্বাচন করে সেখানের মিলের কোন হস্তক্ষেপ থাকবে না বলে মনে করি।
সময় জার্নাল/এলআর