মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ৭, ২০২১
গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস পালিত

দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : 

মহান স¦াধীনতার সুবর্ণজয়ান্তীর উদ্যাপনের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আয়োজনে বিজয় পথে পথে শিরোনামে গোপালগঞ্জ শত্রুমুক্ত হওয়া দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকালে শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়াম, গোপালগঞ্জে বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সমন¦য়ে মহাসমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা.দীপু মনি।সভাপতিত্ব করেন জেলা অওয়ামীলীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক।
৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ।  

এ উপলক্ষে সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদুর রহমানসহ জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। বিকালে মুক্তিযোদ্ধাদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গোপালগঞ্জকে মুক্ত করতে দীর্ঘ নয় মাস জেলার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন হাজারও মুক্তিগামী বাঙালী। গণ-কবরসহ পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের চিহ্ন আজও রয়েছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। ডিসেম্বর মাসের প্রথমদিক থেকেই পাকসেনা ও রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে থাকে।

হানাদার বাহিনী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন মিনি ক্যাম্প স্থাপন করেন তৎকালিন সিও অফিসে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাপ্টেন ফয়েজ ও মেজর সেলিম এর নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থান থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে ক্যাম্পের পাশে হাত পাঁ বেধে জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতো। আর নারীদের নির্যাতন শেষে হত্যা করে পাশের পুকুরে ফেলে রাখা হত। বর্তমানে বদ্ধভূমি হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযোদ্ধারা পাক সেনাদের জখন চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে তখন ৭ ডিসেম্বর ভোরের মধ্যে এই ক্যাম্প ছেড়ে একটি দল ঢাকা ও অন্য একটি দল কাশিয়ানীর ভাটিয়া পাড়া ওয়ারলেস ক্যাম্পে পালিয়ে যায়।

৭ ডিসেম্বর সূর্য ওঠার সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ব্যবহার রাইফেল ও বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা হাতে নিয়ে শহরে প্রবেশ করে।পাক বাহিনী পালিয়ে গেছে এবং মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করেছে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে এসে মাতোয়ারা হয়ে উল্লাস করতে থাকেন। পাক হানাদার বাহিনী চলে যাওয়ার পর বধ্য ভূমিতে পাওয়া গেছে নারীদের শাঁখা, চুড়ি, চুল, জামা কাপড়।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল