তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : ‘আত্মহত্যা’ শব্দটির সাথে জড়িয়ে রয়েছে অনেক যন্ত্রণা এবং কষ্ট। এবার সেই কষ্টকে কমাতে সুইজারল্যান্ডে এলো নতুন যন্ত্র। দেখতে অনেকটা ক্যাপসুলের মত। যে ব্যক্তি ইচ্ছামৃত্যু চান, তাকে কোন যন্ত্রণা ছাড়া কয়েক মুহূর্তে মৃত্যু দিতে পারবে এই যন্ত্রটি। আইনি ভাবে সুইজারল্যান্ডে যন্ত্রটি স্বীকৃতি পেতেই শুরু হয়েছে আলোচনা। হিন্দুস্তান টাইমস এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
বিশেষ এই যন্ত্রটির নাম সারকো। যন্ত্রটি আবিষ্কারের পিছনে মূল মাথা রয়েছে সুইজারল্যান্ডের মৃত্যুর চিকিৎসক বলে পরিচিত ডাক্তার ফিলিপ নিটশে। যন্ত্রটি তৈরি করতে প্রচুর খরচ হলেও বাজারে বিক্রি হবে প্রচুর এবং লাভও হবে সংস্থার। সারা পৃথিবীতে এই যন্ত্রটির দুটো প্রোটোটাইপ রয়েছে। সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী বছরে তৃতীয় মেশিনটিও বাজারে আনার সম্ভাবনা প্রবল।
যে ব্যক্তি ইচ্ছামৃত্যু চান তাকে শুধু একবার খবর দিতে হবে। তার কাছে এই যন্ত্রটি নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পুরো সংস্থার দায়িত্ব। সংস্থার তরফ থেকে এই যন্ত্রটি সম্পূর্ণ পরিচালনা করা হবে। ইচ্ছামৃত্যুতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে ঢুকে পড়তে হবে সেই যন্ত্রের মধ্যে। তারপর নিমেষেই নেমে আসবে যন্ত্রণাহীন মৃত্যু। প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২ সাল থেকেই এই যন্ত্রটি বাজারের বিক্রি করা হবে।
আসলে এই যন্ত্রটি হলো একটি গ্যাস চেম্বার। যার মধ্যে দ্রুত অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমানো যায়। এর আগেই আইন করে সুইজারল্যান্ডে ইচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক বছরে গড়ে এই দেশে ইচ্ছামৃত্যকে বেছে নেন প্রায় ১৩০০ জন। যন্ত্রটি আইনিভাবে ছাড়পত্র পেতে শুরু হয়েছে তুমুল শোরগোল। ব্যক্তির মৃত্যুতে এই যন্ত্রটি সময় নেবে এক মিনিটেরও কম। যন্ত্রটিকে যেখানে ইচ্ছা সেখানেই নিয়ে যাওয়া যায়। বাইরে থেকে দেখতে যন্ত্রটি অনেকাংশে মহাকাশযানের মত।
সময় জার্নাল/এসএ