জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
জেলায় এখনও পুরোপুরি শীত না পড়লেও পোশাকের বাজারে তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁওয়ের শপিং মলগুলোতে বা রাস্তার পাশে ফুটপাতগুলোতে সারি সারি পোশাকের দোকানের দিকে তাকালেই শীত নিবারণে পোশাকের প্রয়োজনের কথা মনে পড়ছে।
শীতের শুরুর দিকে এ সব শীতবস্ত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। সে কারণে অনেক ক্রেতাই সাধ্যের মধ্যে শীতের সঞ্চয়ের উদ্দেশ্যে শীতবস্ত্রের বাজারে ভিড়ও করছেন। ঠাকুরগাঁওয়ে হকার্স মার্কেট ও শহরের প্রধান সড়কের পাশে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা যায় বিক্রেতাদের।
এসব মার্কেট ও অস্থায়ী দোকানগুলোতে রয়েছে ফুলপ্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি, জ্যাকেট, মাফলার, হাতমোজা, পা মোজা, টুপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের ও দামের কম্বল।
ঠাকুরগাঁওয়ের ফুটপাত থেকে শুরু করে বড় বড় শপিং মলগুলোতে দেখা যায় এসব পোশাক কিনতে সব ধরনের ক্রেতার ভিড়। এছাড়াও বিক্রেতারা শীতপোশাকের উপরও দিচ্ছেন বিভিন্ন মাত্রায় মূল্যছাড়।
শহরের হকার্স মার্কেটে পরিসরে শীতবস্ত্রের দোকান সাজিয়েছেন রাসেল ইসলাম। প্রায় দশ বছর ধরে চলছে তার এ ব্যবসা। তবে শীত ছাড়া অন্য সময়টায় তার দোকানে টি শার্ট-গেঞ্জিসহ বিক্রি হয় ছেলেদের নানা ধরনের পোশাক। ঠান্ডা আসার আগে থেকেই আমরা ফুলহাতার পোশাক নিয়ে আসা শুরু করি। প্রতিদিন গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হয় বলেন রাসেল।
মার্কেট ঘুরে শীতের পোশাক কেনার পর টুপি-মোজার দোকানে এসেছিলেন মেরি আক্তার। তিনি বলেন, ভাইয়ের জন্য শীতের কাপড় কিনলাম। সামনে কক্সবাজার কিংবা সাজেক যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। তাই ভাবছি টুপি কেনা দরকার।
আরেকজন বিক্রেতা বলেন, শীত ছাড়া অন্য মওসুমে যারা ঘুরতে যায়, তারা এখান থেকে গরম কাপড় কেনে। শীতকালে মোটামুটি সবাই ভিড় করে এখানে।
শীতকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ের ফুটপাতে ও ফ্যাশনপণ্যের বিপণিগুলোতে বসেছে শীতবস্ত্রের পসরা। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এসব দোকান থেকে কেনাকাটা করছেন।
সময় জার্নাল/এলআর