নিজস্ব প্রতিবেদক: চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন, ভোটের আগে এবং পরে নৌ ও যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসি জানায়, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চতুর্থ ধাপে ৮৪০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন উপলক্ষে ট্রাক, পিকআপসহ লঞ্চ, স্পিড বোট, ইঞ্জিনচালিত যেকোনো ধরনের নৌযান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। ২৬ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের আগের দিন ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত ১২টা থেকে ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত সকল ধরনের নৌ-যান এবং স্পিড বোট চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
তবে ইসি জানায়, সকল ধরনের ইঞ্জিনচালিত নৌযানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করে শুধু লঞ্চ ও স্পিড বোট চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। বিশেষ করে ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র নৌযান বা জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত রাখতে হবে।
অন্যদিকে, ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ২৬ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক ও পিক আপ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ২৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৭ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
ইসি জানায়, রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। তাছাড়া, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শকের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। এর বাইরেও জরুরি কাজে যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এছাড়া, জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
এমআই