নিজস্ব প্রতিনিধি: র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, ‘র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ সঠিক নয়। আমাদের কোনো সংস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না। আমাদের এখানে প্রতিটি ঘটনা ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত করা হয়ে থাকে। কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার উদ্যোগে আয়োজিত ‘আদর্শ গ্রাহক সম্মাননা স্মারক-২০২১’ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা বস্তুনিষ্ঠভাবে দেয়নি। তারা অতিরঞ্জিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমাদের কোনো সংস্থা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না। করলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা চ্যালেঞ্জিং। মাদক কারবারিরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। দেশের প্রশিক্ষিত বাহিনী অভিযান চালালে তারা অস্ত্র ব্যবহার করায় গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।’
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নিষেধাজ্ঞার ওই তালিকায় বাংলাদেশের বিশেষ বাহিনী র্যাব ও এ বাহিনীর সাবেক-বর্তমান ছয় কর্মকর্তার নামও রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও পুলিশের বর্তমান আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ ও র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের নামও রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের আরও একজন কর্মকর্তার নাম রয়েছে নিষেধাজ্ঞার তালিকায়। তাদের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ রয়েছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।
সময় জার্নাল/এলআর