বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট পাসপোর্ট অফিসে আবারও চলছে টাকার খেলা। গত এক সপ্তাহে সাড়ে ৪ শত পাসপোর্ট জমা হয়েছে। এরমধ্যে ৩ শতাধিক পাসপোর্ট থেকে নেওয়া হয়েছে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা। এমনকি টাকা না হলে ফাইল নড়ছে না। নতুন ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক এসেই যেন টাকার খেলা শুরু করে দিয়েছে। প্রতিদিন যে ফাইল জমা হচ্ছে টাকা না দিলে সেই ফাইলের কোনটাই ইনরোলমেন্ট (ডক ষ্ক্যান) হচ্ছেই না।
অফিস কর্মচারীদের যোগ সাজসে লাইনের ফাইল হলে আর্জেন্ট হোক আর অন্যটাই হোক তা দ্রুতই ইনরোলমেন্ট হচ্ছে। নতুন ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক এ ব্যাপারে সিদ্দিহস্ত এবং তার টেবিলেই আটক রয়েছে সকল ফাইল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি এসব কথা জানান।
বাগেরহাট পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানের উপ-সহকারী পরিচালক জাহিদ ইকবাল অসুস্থ হয়ে ছুটিতে থাকায় রাজশাহী অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক এসএমএ সানিকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ারপর বাগেরহাট অফিসে প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এ সময়ে প্রথম দিকে কিছু ফাইল যথা সময়ে কাজ হলেও এখন টাকা ছাড়াই পাসপোর্ট পাওয়া যেন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। লাইনে টাকা ছাড়া চলছে কোন ইনরোলমেন্ট। লাইন থাকলে হচ্ছে ইনরোলমেন্ট। আর টাকা না দিলে হচ্ছেই না ইনরোলমেন্ট। ফলে যথা সময়ে পাসপোর্ট পেতে হিমশিম খাচ্ছে সেবা গ্রহীতারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে এর বাস্তব চিত্র। পাসপোর্ট অফিসে ফাইল জমা দিতে এলে লাইন না থাকলে তাকে বিভিন্ন অজুহাতে এ কাগজ, ও কাগজ লাগবে বলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর আর্জেন্ট কাজ থাকলেও সময় মতো মিলছে না ইনরোলমেন্ট। আবার টাকা দিলে সবই যেন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
গত এক সপ্তাহে ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাগেরহাট পাসপোর্ট অফিসে সাড়ে ৪ শত পাসপোর্ট জমা পড়েছে। এর ভিতর লাইনে থাকা পাসপোর্টগুলো ইনরোলমেন্ট সম্পন্ন হয়ে পুলিশ তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আর লাইনে না থাকা ফাইলগুলো তাদের বিভিন্ন তাল-বাহনায় আটকে রাখা হয়েছে উপ-সহকারী পরিচালকের নিকট। এমনকি এর ভিতর জরুরি ফাইলও রয়েছে। ভুক্তভোগীরা অফিসে এসে ধর্ণা দিলেও কাজ হচ্ছে না। টাকা না হলে নড়বে না ফাইল। এমনই ঘোষণা উপ-সহকারী পরিচালকের।
এ বিষয়ে বাগেরহাট পাসপোর্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী পরিচালক এসএমএ সানি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন চেষ্টা করা হচ্ছে ফাইলগুলো ছেড়ে দেওয়ার।
সময় জার্নাল/আরইউ