জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে মেহেদি হত্যাকান্ডের ঘটনায় মেহেদিকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হওয়ার দাবি করা দুই বন্ধু আরমান(১৬) ও গালিব(১৬) গ্রেফতার হয়েছে। সেই সাথে আরমানের দাদা আকবর আলমকে(৬২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরমান ও গালিব মামাতো ফুফাতো ভাই হওয়ায় আকবর সম্পর্কে গালিবের নানা হয়।
বৃহঃবার(২৩ ডিসেম্বর) রাতে ৩ জনকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এর আগে মেহেদির পিতা মালেক সদর থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে আরমান ও গালিব হাসপাতালে ভর্তি ছিলো। আর আকবরকে পূর্বেই জিঙ্গাসাবাদের জন্যে থানায় আনা হয়েছিলো। এই মামলার চার নাম্বার আসামি আরমানের পিতা জুয়েল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
মামরার এজাহার সূত্রে জানাযায়, বুধবার(২২ ডিসেম্বর) সন্ধায় প্রতিবেশি গালিব মেহেদিকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আরমান ও তার পিতা জুয়েল তাদের সাথে মিলিত হয়। তিনজন এক হয়ে মেহেদিকে নিয়ে দুরামারিতে চা খেতে যায়। আরও পরে আকবর মিলিত হয়ে মেহেদিকে আহত করলে এক পর্যায়ে মেহেদির মৃত্যু হয়।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের কথায় আগেই আমার সন্দেহ ছিলো। পরে বাদি পক্ষ তাদের নাম উল্লেখ করেই মামলা করে। অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ওসি তানভীরুল জানান, আরমান ও গালিব হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আকবরকে কোট চালান করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁওয়ের দুরামারি এলাকায় স্কুল ছাত্র মেহেদীকে বাসায় থেকে বন্ধু পরিচয় দিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর স্থানীয় লোকজন খবর দেয় মেহেদি রাস্তার ধারে পড়ে আছে। খবর পেয়ে স্বজনরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মেহেদিকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদিকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় আরমান নামে আরো একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো।
সময় জার্নাল/এলআর