রেজাউল করিম রেজা,কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর গ্রামে নদী ভাঙনের শিকার ৮৩টি পরিবারকে সহাযথা দিয়েছে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন।
গত ২০দিন ধরে খোলা আকাশে আশ্রয় নেয়া এসব পরিবারের হাতে শনিবার শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র তুলে দিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম তাদের পুর্ণবাসনের আশ্বাস দেন।
জানা যায়, ব্রহ্মপূত্র নদের তীব্র ভাঙনে গত দুই মাসে যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর গ্রামটির পঁচানব্বইভাগ এলাকা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এখন সামান্য অবশিষ্ট জায়গায় ঘরবাড়ি সড়িয়ে খোলা আকাশে আশ্রয় নিয়েছে তারা। এ বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উত্তম কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) রাসেদুল ইসলাম, সদর এসি ল্যান্ড ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান। সেখানে দুর্গতদের খোঁজখবর নেন। তাদেরকে শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র তুলে দেন।
এসময় জেলা প্রশাসককে ওই গ্রামের হাসেম, কামরুল ও সৈয়দ জানান, আমাদের এখন নিজস্ব কোন জায়গা জমি নাই। সব ব্রহ্মপূত্রের পেটে চলে গেছে। এখন পাশেই সরকারি ৪শ’ বিঘা খাসজমি রয়েছে। আমরা সেখানে বাড়ি নিয়ে গেলে প্রবাবশালীরা আমাদের ঘরবাড়ি ভাসিয়ে দেয়। তারা আমাদেরকে আশ্রয় না দেয়ায় এখানে আমরা প্রায় ২০দিন ধরে মানবেতরভাবে জীবন যাপন করছি।
ওই গ্রামের শরিফুল মাস্টার জানান, যাত্রাপুর মেইনল্যান্ড এলাকার ৪টি প্রভাবশালী পরিবার ওই ৪শ’ বিঘা জমি ভোগদখল করে আসছে। আমাদের জন্য সামান্য একটু জায়গাও ছেড়ে দিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, সরেজমিনে তাদের সার্বিক অবস্থাটা দেখলাম। আপাতত তাদেরকে কিছু শুকনো খাবার ও শীতবস্ত্র দেয়া হল। নদী ভাঙনে এরা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পাশ্ববর্তী এলাকায় একটি খাস চর রয়েছে সেখানে আমরা তাদেরকে বসবাসের ব্যবস্থা করা হবে।
সময় জার্নাল/আরইউ