সময় জার্নাল প্রতিবেদক : রাজধানীর তুরাগ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৩ নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে লক্ষাধিক লোকের বসবাস। অথচ এখানের রাস্তা-ঘাট খানাখন্দে ভরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রানাভোলা সিরাজ মার্কেট ফুলবাড়িয়া সংযোগ সড়কে বৃষ্টি না থাকলেও চলছে নৌকা। গতকাল এমন দৃশ্য দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ নির্বাচিত কাউন্সিলর কোন কাজ করছেন না। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানীয় বাসিন্দা হযরত মাহমুদ বলেন, আমরা গাড়ি নিয়ে বাসায় ঢুকতে পারি না। সাধারণ মানুষ এই ময়লা পানিতে কিভাবে বসবাস করে আপনারাই দেখেন। তিনি আরো বলেন, সিটি করপোরেশন হয়ে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি। আমরা ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি। খানা খন্দে ভরা রাস্তাঘাট, অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় হাটু পানি। নিচু বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে যায়। বিগত দিন এ নিয়ে একাধিক টিভি চ্যানেল ও পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হওয়ার পর ও কোন প্রতিকার মিলেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা এক সাংবাদিক বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে আমার বসত ঘরে হাটু পরিমাণ পানি উঠে। এতে তিন দিন পরিবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে ছিলাম। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর নাছির উদ্দীনকে জানানো হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। পরে বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা টাকা দিয়ে ড্রেন পরিস্কার করে নিয়েছি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের টেকের খালেক বলেন, আমরা আগে ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে ভালোই ছিলাম। সিটি করপোরেশন হয়ে আমাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। আমাদের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। একজন মানুষ অসুস্থ হলে চিকিৎসার জন্য উওরায় যেতে হয়। রাস্তায় রিকশার ঝাঁকুনিতে রুগী আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে।
রানা ভোলার সিরাজ মার্কেট এলাকার খোকন এই প্রতিবেদককে জানান, রাস্তা ঘাটের যে বেহাল দশা তার উপর যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে রিকশার গ্যারেজ। এসব গ্যারেজকে কেন্দ্র করে চলছে গাঁজা ফেনসিডিল ইয়াবাসহ রমরমা মাদক বেচাকেনা। ইভটিজিং চুরি ছিনতাই সহ ঘটছে নানান ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড।
আলিমুদ্দিন নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ৩০ বছর এ এলাকায় বসবাস করছি। রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা থেকে কেউ আমাদের মুক্তি দিতে পারেনি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সারা বছর রাস্তায় ময়লা পানি জমে থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলে তো আর কথাই নেই। আমরা মসজিদে গিয়ে ঠিক মতো নামাজ আদায় করতে পারি না। অপেক্ষায় আছি কখন আমাদের এ দুর্ভোগ লাগব হয়।
এবিষয়ে কথা বলতে বর্তমান কাউন্সিলর মো. নাসির উদ্দীনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সময় জার্নাল/এসএ