এম.পলাশ শরীফ, বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে একটি মাদ্রাসার সামনে অবৈধ স্থাপনা দোকান নির্মাণ করেছে দখলদাররা। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির নোটিশ অমান্য করে ওই প্রভাবশালী মহলটি অবৈধ অবৈধ স্থাপনা দোকান ঘরটি এখনও অপসারন করেননি।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, উপজেলাা পুটিখালী ইউনিয়নের মঙ্গলেরহাট গ্রামে পুটিখালী ইসলামিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসা এড়িয়ায় সুলতান আহম্মেদের ছেলে তাওহিদ শেখ অবৈধ স্থাপনা দোকানঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পরিবেশ হচ্ছে বিনষ্ট।
একদিকে সরকারি রেকর্ডিও খাল আটকিয়ে অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে কোন প্রকারের দোকান পাঠ নির্মাণ করা যাবেনা পরিপত্র থাকলেও কোন কর্নপাত করছে ওই প্রভাবশালী মহলটি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা দোকানঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা সত্ত্বেও শুনছে তাদের কোন কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক অভিভাবকদের এ বিষয়ে রয়েছে চরম ক্ষোভ। বিষয়টি দেখার কি কেউ নেই?।
এ বিষয়ে পুটিখালী ইসলামিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন শেখ বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সর্বশেষ পরিপত্রের আলোকে দোকান মালিককে তার নির্মাণ করা দোকান ঘরটির অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ করা হয়েছিলো। ম্যানেজিং কমিটি অভিভাবকদের অবহিত করা হয়েছে। তবে, মাদ্রাসার সিমানার নির্দিষ্ট জমির বিষয় তিনি অবহিত নন।
মাদ্রাসা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. আবুল বাশার এ সর্ম্পকে বলেন, ৭/৮ মাস পূর্বে ওই দোকানঘরটি নির্মাণের সময় তিনি সভাপতি হিসেবে বাঁধা দিলেও কোন কর্নপাত করেনি।
তৎতকালিন ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি প্রভাষক গাজী ইকবাল হোসেন বলেন, দোকানঘর নির্মাণের সময় ম্যানেজিং কমিটি তাৎক্ষনিক সভাকরে দোকান মালিককে নিষেধ করা সত্ত্বেও স্থানীয় কিছু বিষয়দির কারনে বাঁধা কোন কাজে আসেনি।
দোকান মালিক তাওহিদ শেখ বলেন, তিনি মাদ্রাসার জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করেননি। তার পৈত্তিক সম্পত্তিতে ঘর তুলেছেন।
এ সর্ম্পকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান বলেন, পুটিখালীতে মাদ্রাসার এড়িয়ায় দোকান নির্মানের বিষয়টি তিনি অবহিত নয়। তবে, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমিতে কোন প্রকার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা যাবে না। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর