খাদিজা খানম, নোবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
সাধারণ সম্পাদকের পদ শূন্য রেখেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি- ২০২২ এর কার্যনির্বাহী পরিষদের কমিটি ঘোষিত হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী পন্থী শিক্ষক প্যানেল নীল দল সংখ্যাগরিষ্ঠ পদে জয়লাভ করেছে।
২৭ ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এস. এম. মাহবুবুর রহমান।
এই নির্বাচনে সভাপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থীরা উভয়ই সমান সংখ্যক (১১৮ টি) ভোট পাওয়ায় এই পদে জয়ীর নাম ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দুই প্যানেলের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করে এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্যানেলের শিক্ষকদের মাঝে এক ধরনের উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্বান্ত গৃহীত হবে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস এম মাহবুবুর রহমান আরো বলেন, "সাধারণ সম্পাদক পদে দুই প্রার্থীর ভোট সমান হয়েছে। নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সংবিধানে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আইন নেই। তাই পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক কীভাবে নির্বাচিত হবে এই সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত হবে। নির্বাচন গ্রহনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছি"।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল বাশার বলেন, "অপূর্ণাঙ্গ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারেন না। আমি আশা করছি সুষ্ঠু গণতন্ত্র রক্ষার্থে এই পদে পুনরায় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচন কমিশন পুর্নাঙ্গ কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। এছাড়াও নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো"।
নীল দল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, "আমি চেষ্টা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে যুক্ত রাখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আমার প্রতি আস্থা রেখেছেন এজন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দুই প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে কীভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে আবার নির্বাচন হবে। আমি আশাবাদী পরবর্তী নির্বাচনেও শিক্ষকরা আমার প্রতি আস্থা রাখবে’’।
এদিকে নির্বাচিতদের মধ্যে প্রায় প্রতিটি পদেই নীল দলের প্রার্থীরা জয় লাভ করেন। সহ সভাপতি পদে ড. মোহাম্মদ নছর মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে বাদশা মিয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে ড.ফাহদ হোসাইন, প্রচার সম্পাদক পদে সৈয়দ মোঃ সিয়াম ও ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মারুফ হাসান নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়াও সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ মজনুর রহমান, মোহাম্মদ আবদুস সালাম, বিপ্লব মল্লিক ও মোঃ ছারোয়ার উদ্দিন।
উক্ত নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পাশাপাশি সহকারী নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন এপ্লাইড কেমিস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষিকা অবন্তি বড়ুয়া।
উল্লেখ্য যে, নির্বাচনে দুই প্যানেলে মোট ১১টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে আওয়ামীপন্থী নীল দল ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের মোট ২২ জন প্রার্থী। গত ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা ও নির্বাচনের আচরণবিধি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
সময় জার্নাল/ইএইচ