বিনোদন প্রতিবেদক : শুটিং শুরুর সাত দিনের মাথায় ছবিটি থেকে সরে দাঁড়ান প্রযোজক। অর্থনৈতিক সংকটে আটকে যায় শুটিং। পরে নির্মাতা নিজেই প্রযোজনার দায়িত্ব নেন। শুরু হয় আরেক বিপত্তি। টানা দুই বছর শিডিউল দিয়ে কথা রাখেননি অভিনেত্রী শিমলা। এ ছাড়া নির্মাণ–পরবর্তী কাজ পছন্দ না হওয়ায়সহ নানা ঝামেলায় সাত বছর লেগে যায় ‘নিষিদ্ধ প্রেম’ ছবির শুটিং করতে। সম্প্রতি ছবিটির সব কাজ শেষ। ছবিটি শিগগিরই সেন্সরের যাবে।
ছবিটির নির্মাতা রুবেল আনুশ জানান, তার ছবির শুটিং শুরু হয় ২০১৪ সালের শেষের দিকে। এটি ছিল তার প্রথম ছবি। অনেক স্বপ্ন নিয়ে নির্মাণ শুরু করেন। শুটিং শুরু করলে ছবিটির প্রযোজক বিভিন্ন অনৈতিক আবদার নিয়ে আসেন। এই ব্যাপারে তিনি প্রথম থেকে চুপ ছিলেন। পরে প্রযোজক রেগে ছবিটিতে লগ্নি না করার ঘোষণা দেন। প্রথমবারের মতো শুরু হয় শুটিংয়ে বিলম্ব। পরে টাকা জমিয়ে পরিচালক প্রযোজকের লগ্নি অর্থ পরিশোধ করেন। এরপর নিজেই প্রযোজক হয়ে শুটিং চালু করার চেষ্টা করেন।
‘নিষিদ্ধ প্রেম’ ছবির তিনটি গল্পের একটিতে অভিনয় করেছেন শিমলা ও মামুন। তাদের বয়সের ব্যবধান প্রায় ১৫ বছর। তারা একে অন্যের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। যে প্রেম সমাজের চোখে নিষিদ্ধ। কিন্তু প্রেম বয়সের বাধায় আটকায় না। তারা লুকিয়ে প্রেম করতে থাকেন। নির্মাতা জানান, তার ছবিতে থাকবে মোট তিনটি গল্প। দ্বিতীয় গল্পটি দুই ধর্মের দুজনের প্রেম ঘিরে। শেষে দেখানো হবে একজন ডোমের প্রেম। এই প্রত্যকের সম্পর্কের ক্ষেত্রেই সামাজিকভাবে বাধা আসে। কারণ, এসব গল্প সমাজের চোখে নিষিদ্ধ। তিনি জানান, ছবিটি ২০১৫ সালেই মুক্তি দেওয়া পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু শুটিংয়ে একের পর এক বাধা এসে তিনি নিজেই ভেঙে পড়েন।
আনুশ জানান, নিজেই প্রযোজনা করে শুটিংয়ের পরিকল্পনা করি। তখন প্রায় দুই বছর ছবির অভিনেত্রী শিমলা টানা শিডিউল ফাঁসিয়েছেন। শিমলার জন্য ৯ দিন তারা পুরো ইউনিট নিয়ে বসে ছিলেন। সবাই থাকলেও শিমলার কোনো খবর ছিল না। এতে পরিচালকের ১০ লাখ টাকার বেশি লোকসান যায়। এই নিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পী সমিতিতে দেনদরবারও হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার ছবিটি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। কিছু ১৮+ দৃশ্য ছিল। ক্রিপ্ট দেখে শিমলা আপা পছন্দ করেছিলেন। গল্পের প্রয়োজনে সব দৃশ্য করতে রাজি হন। শুটিংয়ে তাঁর ব্যবহার অনেক ভালো পেয়েছি। কিন্তু কেন তিনি শুটিং ফাঁসিয়েছিলেন, সেটা এখনো বুঝতে পারি না।’
পরে শুটিং শুরু হলেও পরিচালক অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে যান। এ ছাড়া ছবিটির শুটিং–পরবর্তী কাজে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ‘নিষিদ্ধ প্রেম’ শেষ করতে সাত বছর লেগে যায়। ছবিটি ঠিকমতো শেষ করতে ২৩ বার পুনরায় শুটিং করতে হয়েছে। সম্প্রতি ছবিটির সব কাজ শেষ হয়েছে। সেন্সরে জমা দেওয়ার জন্য ছবিটি প্রস্তুত। ইতোমধ্যে ছবিটি একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাছে বিক্রিও করে দিয়েছেন। সেন্সর সনদ হাতে পেলেই মিলবে মুক্তি। ছবিটি পরিচালনার পাশাপাশি কাহিনিও লিখেছেন আনুশ। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, মনিরা মিঠু, সোহেল খান, মুনমুন আহমেদ, শিমুল খান প্রমুখ।
সময় জার্নাল/আরইউ