ডা. অপূর্ব চৌধুরী :
পুরুষের সৌন্দর্য্য টাকা, নারীর সৌন্দর্য্য ত্বক। সমাজের বেশিরভাগ নারী ও পুরুষ এই দুটোর দিকে দৌড়ায়। পুরুষ অর্থ উপার্জনে প্রমাণ করে সে পুরুষ, নারী ত্বক ঘষে তকতকে করে প্রমাণ করে সে আকর্ষণীয় নারী।
মেয়েরা বাহিরে হাজারো মেয়ের সাথে সৌন্দর্য্যের লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকে বলে যাকে ভালোবাসে তার কাছে এটেনশান চায়।
ছেলেরা বাহিরে হাজারো ছেলের সাথে পাওয়ার এবং অর্থ উপার্জন লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকে বলে যাকে ভালোবাসে তার কাছে কেয়ারিং চায়।
এটেনশান এবং কেয়ারিং একই নয়। অ্যাটেনশন হলো স্বীকৃতি, কেয়ারিং হল আশ্রয়।
একজন চায়, আরেকজন দেয়। এটা একটি কানেকশন। এই হিডেন কমিউনিকেশন দুটো মানুষের সম্পর্ক ঠিক রাখে। বাহিরে বেশিরভাগ কথাবার্তা হলো মলম লাগানো।
যদিও এসব শুনতে অদ্ভুত। কারণ প্রচলিত বিশ্বাস যে- ছেলেরা এটেনশন চায়, মেয়েরা শেল্টার চায়। কিন্তু বাস্তবতা আসলে ভিন্ন।
যাকে যেটির স্বীকৃতির জন্য হাজারো জনের সাথে লড়াই করতে হয়, তখন সে ঘরে আপনজনের কাছে স্বীকৃতি পেয়ে বাইরে না পাওয়ার ব্যর্থতাকে ভুলে যায়।
আবার ক্ষমতা কিংবা অর্থের জন্য যখন তাকে অনেকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়, তখন ক্লান্ত মন কোথাও এক টুকরো শান্তি চায় যেখানে সে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজেকে বের করে এনে ভালো থাকতে পারবে। তখন সতীর্থের টুকরো আশ্রয় তাকে টিকিয়ে রাখে।
সমাজের প্রচলিত চিন্তা ব্যাপারগুলোকে গুলিয়ে ফেলে। যেখানে যেটার প্রয়োজন, সে দিক না মিটিয়ে ভুলের আবর্জনায় ভরে রাখে সম্পর্ক। পরিণতি আর কিছুই নয়- দিনশেষে বেশিরভাগ মানুষ তাই একা হয়ে যায়।
নিজের ভেতর প্রতিটি মানুষ একা। চারিপাশে সব থেকেও সে একা। কারণ, সে যা চায়, তা আসলে সে চায় না; সে যা পায়, তা মোটেও সে চায় না।