নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বয়োসন্ধিকালীন সময়ই নেতৃত্ব তৈরির প্রধান ভিত্তি। এই বয়সে যে নেতৃত্ব গড়ে উঠে পরবর্তী জীবনে সেটাই প্রকাশ পায়। বাংলাদেশে বয়োসন্ধিকালীন কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য, তাদের অধিকারসহ সার্বিক বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বয়সের কিশোর কিশোরীদের জন্য একটি সেন্টার রয়েছে। যাতে করে এই সময়ে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা নিশ্চিত করা যায়। তিনি বলেন, মানুষের জীবনে বয়োসন্ধিকালীন সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই বয়সের মানুষের জন্য সমাজে বসবাসকারী মানুষের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এখনও গড়ে উঠেনি। বয়োসন্ধিকালীন সময়ে সন্তানকে মা-বাবার অধিক সময় দেওয়া প্রয়োজন। এই বয়সে যৌন শিক্ষার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সের মানুষের জন্য গবেষণা কার্যক্রমও জোরদার করতে হবে। কিশোর কিশোরীরা যাতে করে তাদের মনের কথা বলতে পারেন, পরিবারে এবং তাদের জীবনের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখতে পারেন সমাজে সেই অবস্থা তৈরি করতে হবে। আজ ৯ জানুয়ারি ২০২২ইং তারিখ সকালে শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত ‘জেন্ডার ট্রান্সফরমেটিভ এ্যাপ্রোচ ইন এ্যাডোলোসেন্ট ফ্রেন্ডলি হেলথ সার্ভিসেস’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় অন্য বক্তারা বলেন, দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিতে নারীর প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন। সকল ক্ষেত্রেই নারী পুরুষের জন্য সম দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করা জরুরি। বয়োসন্ধিকালীন কিশোরীদের জন্যও সমাজের ইতিবাচক ও সম দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদেরও ভূমিকা রয়েছে। একজন কিশোরী যাতে মেয়ে হওয়ার কারণে নিজেকে কোনোদিক থেকে অপূর্ণ না ভাবেন সেভাবেই সকলের দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের হেলথ ম্যানেজার ডা. জিয়াউল মতিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ শরীফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হাসিন।
এমআই