এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারিভাবে শুরু হচ্ছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। সারা দেশের মত ফরিদপুরেও বিনামূল্যে এ সেবা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।
জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জীবন সায়াহ্নে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশের উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অবস্থিত সকল পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে বা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বা বিশেষায়িত হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিমিত্ত সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এরই আলোকে ফরিদপুরে অনতিবিলম্বে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে গত ০৯ জানুয়ারি, ২০২২ খ্রিস্টাব্দে একটি পরিপত্র জারী করেছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত সমন্বিত তালিকাসহ খেতাবপ্রাপ্ত গেজেট বা যুদ্ধাহত গেজেটভূক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা পাবেন।
উপজেলা, জেলা ও বিভাগ শহরের হাসপাতালে মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে সমন্বিত তালিকাসহ খেতাবপ্রাপ্ত গেজেট বা যুদ্ধাহত গেজেটভূক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ভর্তি হতে পারবেন। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় শহরে অবস্থিত সরকারি হাসপাতাল বা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান সম্ভব না হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সুপারিশে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবে। তবে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বা বিশেষ প্রেক্ষাপটে যে কোন বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালে সরাসরি ভর্তি হওয়া যাবে।
পরিপত্র মোতাবেক বীর মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসায় জনপ্রতি উপজেলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা, জেলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা, বিভাগীয় হাসপাতালের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা খরচ করা যাবে। বিশেষ ক্ষেত্রে সিভিল সার্জন বা পরিচালকের অনুমোদনক্রমে অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা ব্যয় করা যাবে। জটিল রোগীর ক্ষেত্রে আয়ন-ব্যয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে উপজেলা বা জেলায় ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করা যাবে। ভর্তিকালীন চিকিৎসার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রয়োজনে নির্ধারিত এক বা একাধিক ঔষধের দোকান থেকে ঔষধ নেওয়া যাবে।
মাসিক ভিত্তিক যাচাই করে বিল পরিশোধ করা যাবে। ঔষধের মূল্যে কোন ক্রমেই খুচরা মূল্যের বেশী হবে না। ক্ষেত্র মতে হাসপাতাল ত্যাগের সময় ১৫ দিনের ঔষধ আগাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রয় করে দেওয়া যাবে। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে প্রকাশিত সমন্বিত তালিকাসহ খেতাবপ্রাপ্ত গেজেট বা যুদ্ধাহত গেজেটভূক্ত সকল জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনা পয়সায় সেবা পাবার অধিকারী হবেন। তহবিল সংকট বা অন্য কোন অজুহাতে অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা সেবা প্রদান কোনভাবেই ব্যহত করা যাবে না।
সময় জার্নাল/এলআর