এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের মধুখালীতে আড়পাড়া ইউনিয়নের মধ্য আড়পাড়া গ্রামের, চার খালের মাথা সংলগ্ন সড়কটি ভেঙ্গেচুরে বেহাল দশা করেছে সংঘবদ্ধ একটি সুবিধাবাদী ভূমি খাদক চক্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলি জমি ও রাস্তার ঢাক ভেকু দিয়ে কেটে ট্রাক ও ট্রলিতে করে মাটি নিয়ে হচ্ছে। বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাটাতে ও নির্মানাধীণ বাড়ীতে। প্রতিনিয়ত ট্রাক ও ট্রলি চলাচল করার কারণে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে রাস্তাটি। পথিক চলতেও খুব কষ্ট হচ্ছে, সাংবাদিকদের কাছে ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এলাকার বসবাসকারী সাধারণ জনগন। কোন ভাবেই এই রাস্তা দিয়ে অসুস্থ রোগী নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অনুসন্ধান করতে গিয়ে , গাড়ীর পিছুপিছু গিয়ে দেখা যায়, ঠিক রাস্তার সাথে মিশিয়ে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। সরকারি জায়গা থেকে ও রাস্তার মাটি কাটা হচ্ছে।
ভেকু ড্রাইভার ও এলাকার উপস্থিত লোকজনের কাছ থেকে জানা যায়, শাহরিয়ারের সহযোগিতায় এবং বিল্লাল হোসেনের তত্ত্বাবধানে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। জমির মালিক নিজেকে দাবি করে শাহরিয়ার বলেন যা পারেন লেখেন।
এছাড়াও জানা যায়, তারা বিশেষ মহলের ক্ষমতা প্রয়োগ করে অবৈধ ভাবে দেদারছে মাটির বিক্রয়ের ব্যবসা করে যাচ্ছেন। উপজেলার নিভৃতে হওয়ায় দেখার কেউ নাই, উত্তর আড়পাড়া সুইচ গেট সংল্গন জামে মসজিদ থেকে হেংলার মাঠ হয়ে জঙ্গল পর্যন্ত। হেংলার ফসলি জমি ও রাস্তা থেকে মাটি কেটে ট্রাক ও ট্রলি করে নেওয়ার কারণে রাস্তাটির বেহাল দশা অথচ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অধীনেই সরকারি অর্থায়নে রাস্তা সংস্কারের কাজ চলমান আছে। অপরদিকে শক্তিশালী ভূমি খাদকেরা রাস্তাটি খেয়ে চলেছেন, এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কোন মাথা ব্যাথা নেই।
স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, খালের মধ্যের সরকারি গাছ গুলি আড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন মোল্যার প্রত্যক্ষ মদতে উত্তর আড়পাড়া গ্রামের সোহবান খান কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আশিকুর রহমান চৌধুরীকে ব্যাপারটি অবগত করলে তিনি ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দেন সংবাদিকদের।
রাস্তা ধ্বংস, সরকারী গাছ কর্তন এবং রাস্তার ও ফসলি জমির মাটি কাটা বিষয়ে আড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন মোল্যার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিজস্ব জমি থেকে তারা মাটি কাটছে। রাস্তা খারাপ বা ভেঙ্গে নষ্ট হলে তারা নিজস্ব অর্থায়নে ঠিক করে দিবেন বলে আমার সাথে কথা হয়েছে তাদের। সরকারি গাছ কর্তনের বিষয়ে বলেন তাদের জমির সামনে খালের মধ্য থেকে গাছ কর্তন করছেন।
এমআই