ইসাহাক আলী, নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরে ৮ নরপশু মিলে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রাতে নাটোরের ছাতনী ইউনিয়নের ছাতনি ইউনিয়নের মাঝদিঘা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার বাবা মায়ের ওপর অভিমান করে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে নলডাঙ্গার মাধনগর থেকে ছাতনীর ভাটপাড়া খালার বাড়ির উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে রওনা দিয়ে ছাতনীর দিয়ার এলাকায় পৌঁছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে সেখানে পৌঁছালে মাঝদিঘা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলামের সাথে পরিচয় হয়।
শহিদুল ইসলাম ওই কিশোরীকে ভুলভাল বুঝিয়ে তার খালার বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আবারো পায়ে হেটে গন্তব্যস্থল ভাটপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে। পথিমধ্যে ওই এলাকার বখাটের নজরে পড়ে। বখাটেরা তাদের ব্লাক মেইল করে পিছু নেয়। ভাটপাড়া শ্মশানঘাটের এলাকায় গেলে ছেলেটির কাছ থেকে ছাতনি দিয়ার এলাকার বখাটেরা মেয়েটিকে ছিনিয়ে গণধর্ষন করে।
জড়িতরা হলেন, এরশাদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, আবির মন্ডলেরর ছেলে লিটন (২৩) মিনু শেখের ছেলে নয়ন শেখ (২৫), দিলদারের ছেলে রাজু (২৫), মোকসেদ আলীর ছেলে কাজল (২৫), আসাদুল ইসলাম আসতুল (৩৮), আমিনুল ইসলাম কেড়ে নিয়ে বিলের মধ্যে লেবু বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করেন।
পরে এ সংক্রান্ত্র খবর গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে পুলিশের কাছে পৌছলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৫জনকে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃতরা হলো, একই এলাকার শহিদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, কাজল হোসেন, আসাদুল ইসলাম এবং আমিনুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে বিকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা পলাতক সবাইকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান॥
সময় জার্নাল/এলআর