নিজস্ব প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যেখানে তদবির দরকার সেখানে তদবির চালাব। যুক্তরাষ্ট্রের প্রথা অনুযায়ী কাজ করাতে গেলে লবিস্ট নিয়োগ করে তদবির করাতে হয় বলেও জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের (বিলিয়া) এক অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
অনুষ্ঠান শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে লবিস্ট নিয়োগ কি কাজে দিল? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদিও র্যাবের ওপর একটি নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে র্যাব গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস কমিয়েছে। তারা স্বীকার করেছে, স্বাধীন গবেষণা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সেগুলো চিন্তা ভাবনা করবে। মার্কিন লক্ষ্য পুরো বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস কমানো, সন্ত্রাসী দুর করা, মাদক নির্মূল, মানবপাচার রোধ র্যাব এগুলো বেশ সফলতার সাথে করছে। র্যাব বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। মার্কিনিরা বিষয়টি বুঝবে এবং তাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো কোনো ধাক্কা আসলে, বাংলাদেশের যদি কোথাও কোনো দুর্বলতা থাকে, অবশ্যই সেগুলো নিয়ে কাজ করা হবে।
গত ৭ বছর ধরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করে রেখেছে, আরও কোনো লবিস্ট প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগের পরিকল্পনা আছে কি না? জানতে চাইলে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি এ সব বলবে পারব না। প্রত্যেক দেশেই এ ধরনের, যুক্তরাষ্ট্রের একটি চর্চা এইটা। আর এটা বোধ হয় প্রায় ২০১৩ ও ২০১৪ সালে (নিয়োগ) করেছিল। ওরা কাজ করে। আর প্রত্যেক দেশেই এটা নিয়ম, আমাদের দেশে আমরা তদবির বলি। আর ওই দেশে (যুক্তরাষ্ট্রে) ইনস্টিটিউশন (প্রতিষ্ঠান) তদবির করে। যেখানে তদবির দরকার সেখানে তদবির আমরা চালাব। দেশগুলোতে কাজ করতে গেলে অনেক সময় তদবির লাগে। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা কীভাবে কাজ করতে পারি তা খতিয়ে দেখছি।’
২০১৬ সালে সরকার ও ২০১৮ সালে বিএনপির যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করা নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অত সব জানিটানি না। আপনাদের মাধ্যমে এ সব শুনিটুনি। যে যাই কিছু করতে চাক না কেন, আইনি প্রক্রিয়ায় সবার লবিস্ট নিয়োগের অধিকার রয়েছে। এর বিরুদ্ধে বলার কিছু নাই। বিএনপি করুক অন্য লোকজন করুক এটা তাদের বিষয়, আমাদের নয়।’
আইনি নিয়ে প্রতিষ্ঠান বিলিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। কোনো নতুন আইন ছাড়া আদেশ দেয়া হচ্ছে মাস্ক পড়াসহ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা নিয়ে। এতে মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতায় বাধা আসছে। পুরো দুনিয়ায় যে নতুন ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে সেটিকে কীভাবে আইনের মধ্যে আনা যায় এবং মানুষের অধিকার কীভাবে রক্ষা করা যায় তাতে ভূমিকা রাখতে পারে বিলিয়া।’
সময় জার্নাল/এলআর