মুহা: জিললুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় মামলার পর আসামী পক্ষ থানায় পাল্টা অভিযোগ করায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সদরের খানপুর এলাকা। যেকোন মুহূর্তে ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। সংঘর্ষ এড়াতে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গ্রামবাসী।
মিজানুর রহমানের দাবি তার কিশোরী মেয়ে লিজা (১১)কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়েছে। গত রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আজমির হোসেন, খলিল, আনারুল, মফিজুল, কবিরসহ অজ্ঞাত কয়েকজন দুটি নাম্বার বিহীন মোটর সাইকেলে মিজানুর রহমানের বাড়ির সামনে এসে পিস্তল ঠেকিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস লিজাকে জিম্মি করে ফেলে।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় হেফাজতে রাখে। সোমবার তার মেডিকেল পরীক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে তার ডাক্তারী পরীক্ষা করা যায়নি। আজ মঙ্গলবার তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।জেলা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব সাকিবুর রহমান বাবলা সরেজমিন পরিদর্শন শেষে জানান, কিশোরী বালিকা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেটা যেকোন মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেন এলাকবাসি। একারণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েনসহ প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকবাসি।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম কবির জানান, তিনি এখন ছুটিতে আছেন। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য তদন্ত ওসির সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে এবিষয়ে মুঠোফোনে তদন্ত ওসির সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সময় জার্নাল/এলআর